পুলিশ কনষ্টেবল রহমতের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ

# সংবাদ সম্মেলন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুলিশ কনষ্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহর প্রতারণার কারণে খুলনার তেরখাদার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি পরিবার পথে বসেছে। সহায় সম্পত্তি হারিয়ে প্রবীণ হৃদরোগে আক্রান্ত আবু তালেব এখন চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবু তালেব গতকাল বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল (কং/১৮৫১) মোল্লা রহমতউল্লাহ এলাকায় জমির দালাল নামে পরিচিত। সে আমাকে খুলনার ডুমুরিয়া থানা এলাকার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা ২.০১ একর জমি ক্রয় করার প্রলোভন দেখায়। বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে খুলনায় এনে ওই জমি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এছাড়া চরপাতলা গ্রামের বাড়িতে থাকা আমার ২ বিঘা জমিও মোল্লা রহমতউল্লাহ এবং তার স্ত্রী সুচরিতার নামে লিখে নেয়।লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, কিছুদিন পরে আমি জানতে পারি যে ডুমুরিয়া থানা এলাকার চক আহসান খালী মৌজায় ওই প্রতারকের নামে কোন জমি নাই। সে অন্যের জমি দেখিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি জানার পর আমি বাদী হয়ে খুলনার চীফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।তিনি বলেন, একইভাবে আমার বৌমা আকাশী খাতুনকে খুলনা নগরীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ডুমুরিয়া থানা এলাকার চক আহসান খালী মৌজায় দশ শতক জমি কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। কিছুদিন পর আকাশী খাতুনও বুঝতে পারেন যে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সিএমএম আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলা দায়ের করার পর ওই কনষ্টেবল নিজেকে শেখ বাড়ির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে হুমকি দিতে থাকে। সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় আমিসহ বহু নিরীহ মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। আমরাও আজ নিঃস্ব হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসেছি। অর্খ, সম্পদ হারিয়ে ইতোমধ্যেই আমি তিনবার স্ট্রেক করেছি। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। সবকিছু হারিয়ে এখন অন্যের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে কসবাস করছি।ওই প্রতারক এলাকার বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুলনা থেকে বদলী হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া ফাড়িতে বহাল তবিয়তে কর্মরত রয়েছে। মামলার আসামি হওয়া সত্তেও তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। এমনকি তার বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ বলেন,আবু তালেব ও ফিরোজা বেগম আমার কাছে তাদের জমি বিক্রির প্রস্তাব দেয়।দাম কম দেখে কিছু জমি আমার এবং কিছু স্ত্রীর নামে কিনে নেই। সড়কের পাশের জমি দাম এখন কয়েকগুন বেড়ে গেছে। এখন তারা জমি ফেরত চাইছে। দামি জমি ফেরত না দেওয়ায় তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।