জাতীয় সংবাদ

সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না : পরিবেশ উপদেষ্টা

# জাফলংয়ে ২ উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ #

প্রবাহ রিপোর্ট : সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শন শেষে ফিরছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসময় শ্রমিকরা গাড়িবহর ঘিরে ধরেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে শ্রমিকরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছেন। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে উপদেষ্টাদের গাড়িবহরকে হরিপুর গেস্ট হাউসে পৌঁছে দেয়। গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আকস্মিকভাবে স্থানীয়রা উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে। সাড়ে ১২টা নাগাদ উপদেষ্টারা নিরাপদে হরিপুর গেস্ট হাউজে পৌঁছেছেন।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুরে গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, “উনাদের গাড়ি অনেক আগেই জাফলং ছেড়ে চলে গেছে।” এর আগে জাফলংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাফলং পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটি করা গেলে এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে জাফলং ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। অবিলম্বে অবৈধ পাথর ক্রাশারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে কেউ জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এসময় জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘‘১৯৭১ সালে আমার আব্বা এমসি কলেজে পড়াতেন, তখন আমি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখন আমি এখানে (জাফলং) এসেছিলাম। এই এলাকাটাকে রীতিমত ধ্বংস করা দেওয়া হয়েছে। এই ক্র্যাশারগুলো তো সর্বনাশ করে দিল। এখন থেকে আপাতত আর পাথর উত্তোলন হবে না। “এখানে থাকা ক্র্যাশারগুলো সরাতে হবে। আমি এসে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসির কাছে জানতে চেয়েছি। তারা জানান, পাথর উত্তোলন হচ্ছে না; তাহলে এখানে পাথরগুলো কোথা থেকে এসেছে? এগুলো এখান থেকে সরাতে সবাইকে বলা হয়েছে।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button