স্থানীয় সংবাদ

বিকল অবস্থায় খুমেক মর্গের লাশ সংরক্ষণের হিমায়ক যন্ত্র

# মরদেহ সংরক্ষণের ভরসা বরফ

শেখ ফেরদৌস রহমান: দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন মর্গ বিভাগে মরদেহ সংরক্ষণের হিমায়ক যন্ত্র (ফ্রিজ) বিকল হয়ে পড়ে আছে। অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হলে প্রয়োজন ময়না তদন্ত । এতে করে তিব্র গরমের মধ্যে মরদেহ সংরক্ষণ করার একমাত্র ভরসা বরফ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত মরদেহ সংরক্ষণের জন্য মাত্র একটি ফিজ্র এর সাথে সংযুক্ত আছে ৬টি ট্রে। মোটকথা একই সাথে ৬টি মরদেহ সংরক্ষণ করা হতো। তবে গেল প্রায় কয়েক মাস যাবৎ মরদেহ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজটি বিকল থাকায় ভোগান্তিতে মর্গে মরদেহ ময়না তদন্তের অপেক্ষায় থাকা শোকাহত স্বজনেরা। এছাড়া জানাযায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টির মত আবার কখনও এর থেকে বেশি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। গেল মে প্রথম সপ্তাহে মাসে খুলনা জেলা কারাগারে কয়েদী মশিউর রহমান হার্ট এ্যাটাকে মারা যায় ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ। এরপর থেকে লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। এদিকে চলছিল তিব্র তাপদাহ অন্য দিকে হাসপাতালে লাশ সংরক্ষণের ফ্রিজ বিকল। পাশাপাশি মরদেহ নিতে আসা স্বজনেরা ময়নাতদন্ত না করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেন । খুলনা জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়। তবে কারাগার কতৃপক্ষ ময়না তদন্তর জন্য চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর কাছে। গড়িমশি করতে যেয়ে দুপুর চারটার পর যেয়ে লাশ ময়না তদন্ত করা হয়। এতে করে লাশের শরির ফুলতে থাকে তাৎক্ষনিক। বিকাল পাঁচটার পর লাশ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। এছাড়া গেল সপ্তাহ আগে বাগেরহাট রামপাল আত্মীয়র বাড়ীতে যাওয়ার সময়ে গ্যাসল্ডিার বহনকারী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হন এক যুবক। তার রক্তাক্ত লাশ কিছুক্ষনের মধ্যে শারিরিক পরিবর্তন হতে থাকে প্রায় কয়েক ঘন্টার মত। ডোম, চিকিৎসক আসতে বিলম্ব হওয়াতে অপেক্ষায় থাকা স্বজনেরা অভিযোগ করেন। এখানে মরদেহ সংরক্ষণের ফ্রিজটি বিকল হয়ে আছে। এমনকি মরদেহ সংরক্ষনের জন্য বরফ কোথায় পাবো আমরা কিছু জানিনা। খুলনা এলাকায় আমরা খুব বেশি পরিচিত না। পরবর্তিতে একজন এ্যম্বুলেন্স চালকের সহায়তায় বরফ দিয়ে কিছু সময় মরদেহটি সংরক্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে কথা হয় খুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ মর্গে মরদেহ সংরক্ষনের দায়িত্ব থাকা ইনচার্জ আব্দুর রহিমেরর সাথে তিনি বলেন, বর্তমান খুলনা মেডিকেল কলেজও হাসপাতালে দুইটা ফ্রিজ বিকল। একটাও কাজ করছেনা। আমরা মেরামত করার জন্য আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর কাছে অবগত করেছি। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন একটা লাশ থাকে কখনও এর থেকে বেশি ও ময়না তদন্ত করা হয়। এছাড়া মরদেহ ময়না তদন্ত করতে বিলম্ব হলে আমরা বরফের ব্যবস্থা করে মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মুহসিন আলী ফারাজী বলেন, আমরা হাসপাতালটির মর্গের ফ্রিজটি মেরামত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নিমোকে একাধিকবার সচল করার জন্য চিঠি দিয়েছি। তবে এখনও আশানারূপ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা চলতি বছরের জুনে আর্থিক বরাদ্ধ পেলে একটা ব্যবস্থা হবে। এছাড়া বেশ কয়েকবার আমরা প্রকৌশলীকে নিয়ে ফিজটি মেরামত করার চেষ্টা করেছি। তবে ফ্রিজটি আর সচল হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button