বাগেরহাটে চাঁদার দাবীতে সন্ত্রাসী হামলায় মামলা হলেও পুলিশ আসামী ধরছেনা

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের দত্তকাঠি এলাকায় চাঁদার দাবীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা একটি বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে বৃদ্ধা নারী ও তার ছেলেসহ ৬ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করছে না। এমনই অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্ত্রাসীদের হাতে আহত শেখ রাজিবুল হক। দত্তকাঠি গ্রামের এসএম সাহেব আলীর ছেলে রাজিবুল হক সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিচার দাবীতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবং সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন গত ১২ জুন রাতে ও পরের দিন ১৩ জুন সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের দত্তকাঠি গ্রামের মৃত রেজাউল শেখের ছেলে চিহ্নত সন্ত্রাসী পিঞ্জু শেখ (৩৩) এর নেতৃত্বে মোস্তাক ফকির, সাব্বির শেখ, লুৎফর মল্লিক, সজিব শেখ, রাজীব শেখ, শান্ত শেখ, মিঠু শেখ, হুমাউন শেখ, লেলিন শেখ ও আজমাইন শেখসহ অজ্ঞাতনামা বহিরাগত আরো সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। দাবীকৃত দেড় লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এই হামলা চালিয়ে আমার বৃদ্ধ্ ামাতা শরীফা বেগম (৬৭), সহ আমার বড়ভাই রিয়াদুল হক (৩৯), চাচাতো ভাই রাসেল শেখ (৩৫), রাশেদুল হক (৩৩) ভাইপো ইনামুল হক (৩৩) ও আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া আমার ব্যবহ্নত একটি মটর সাইকেল ভাংচুর ও বাড়ীর মালামাল লুট ও মাছের ঘের লুট এবং ঘেরের বাসা পুড়িয়ে দিয়ে আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। আমরা বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ১৬ জুন-২০২৫ তারিখ বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানার অফিসার ইনচার্জ আমাদের অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করেন। মামলায় সন্ত্রাসী পিঞ্জু শেখ সহ ১১ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০/২৫জন কে আসামী করা হয়। এরপর ৫/৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারে নাইা। বরং আসামীরা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের প্রান নাশের হুমকী দিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছি। সন্ত্রাসী হামলায় আসামী গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাহামুদ-উল হাসান বলেন, মামলা হওয়ার পর আসামীরা গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।