বিনোদন

ঈদের পরেও থামছে না ‘উৎসব’ জোয়ার, তৃতীয় সপ্তাহেও শো বাড়ছে

প্রবাহ বিনোদন: ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপটে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটিই যেন রীতিমতো দর্শকপ্রিয়তার ঢেউ তুলেছে-সেই সিনেমাটির নাম ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত এই তারকাবহুল ছবি মুক্তির পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হাউসফুল শো দিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের চলমান চলচ্চিত্র পরিবেশে এক বিরল সাফল্যের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে ‘উৎসব’ প্রদর্শিত হয়েছে প্রতিদিন হাউসফুল শো নিয়ে। শুধু গতকাল শনিবারই নয়, আজ রোববারেরও আগাম টিকিটও রাজধানীর অনেক শাখায় সোল্ড আউট হয়ে গেছে-যা স্পষ্টভাবে বলে দেয়, দর্শক আগ্রহ থেমে নেই, বরং আরও বাড়ছে।
দর্শকপ্রিয়তার এই ব্যতিক্রমী ধারায় সিনেমাটি এখন মোট ৩১টি শো নিয়ে চলছে। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে ২৪টি, ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ৫টি এবং লায়ন্স সিনেমা হলে ২টি। সিনেমাটির আয় ইতোমধ্যে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে, যা এ ধরনের সীমিত বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে বড় এক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ডোপ প্রডাকশনস ও লাফিং এলিফ্যান্ট প্রযোজিত এই সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে পারিবারিক আবহের ভিতর দিয়ে। এটি লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। ‘উৎসব’ ছবির মূল শক্তি এর অভিনয়শিল্পীরা-একই পর্দায় হাজির হয়েছেন জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি ও সাদিয়া আয়মান।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তৃতীয় সপ্তাহে ছবিটির শো আরও বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “উৎসব সিনেমাটি ক্লিক করেছে, খুবই ভালো যাচ্ছে। পরিবারকেন্দ্রিক দর্শকরাই বেশি আসছেন ছবিটি দেখতে। মনে হচ্ছে তৃতীয় সপ্তাহেও বেশ ভালো যাবে।”
ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য পাঁচটি সিনেমার মধ্যে ‘তা-ব’ ছিল অন্যতম আলোচিত। তবে ‘উৎসব’ তারকাবহুল হলেও সীমিত বাজেটের ছবি হিসেবে সেই আলোচনার বাইরে গিয়েও জিতে নিচ্ছে দর্শকদের মন। প্রতিদিনের ভিড় এবং প্রতিক্রিয়ায় এটি যেন ইতোমধ্যে ইন্ডাস্ট্রি হিট হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অতীত স্মৃতিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনছে ‘উৎসব’, বলছেন দর্শকেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছবির প্রশংসা করছেন অসংখ্য দর্শক। ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা এখন খুব কম দেখা যায়, আর উৎসব সেই অভাবটা মেটাচ্ছে’, এমন মন্তব্য করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বাংলা সিনেমার জন্য এটি এক আশাব্যঞ্জক মুহূর্ত, যেখানে গুণগত মান এবং আবেগময় গল্প নিয়ে নির্মিত একটি ছবি টানা দর্শক টানছে-একটা উৎসব হয়ে উঠছে নিজেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button