স্থানীয় সংবাদ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এক ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করে আবার কোন নতুন ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় বসতে না পারে সজাগ থাকতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# ২ নং ওয়ার্ড ও ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের মতবিনিময় #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার দোসররা এখনো পর্যন্ত প্রতিটা সেক্টরে অবস্থান করছে। যে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য দুই হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছিল তার বাস্তব ফল এখনো পর্যন্ত জনগণ পায়নি। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানব রচিত মতবাদ দিয়ে সম্ভব নয় । একমাত্র কুরআনের আইনের ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানী করতে হবে। সাধারণ মানষদেরকে বোঝাতে হবে ভোট একটা পবিত্র আমানত এবং এর গুরুত্ব বোঝাতে হবে, তাদের এই ভোটটা যেন কোন রকম অসৎ ব্যক্তির পক্ষে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিতাড়িত করা হয়েছে নতুন করে যাতে আর কোন ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় বসতে না পারে সে দিকে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন ২ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
২ নং ওয়ার্ড আমীর শেখ আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও মোল্লা হুমায়ুন এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি অধ্যপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মু. মুশাররফ আনসারী, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে দৌলতপুর থানার সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হেসেন পারভেজ, শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন, আবু বকর, ওহিদুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ, শাহিন, মনিরুল ইসলাম, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিট দায়িত্বশীলদের সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। ওয়ার্ড-ইউনিট সভাপতি সেক্রেটারিদের দেখেই সাধারণ মানুষ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে ভালো-মন্দ ধারণা পোষণ করে থাকে। ফলে আপনাদেরকে সবরের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। আর যে কোন পরিস্থিতিতে সাহসিকতার সাথে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার আলোকে ময়দানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপরে ভরসা বা তাওয়াক্কুল করতে হবে। প্রত্যেক পাড়া- মহল্লায় সকলের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইসলামের সু-মহান আদর্শের আলোকে গড়ে তুলতে হবে। পরিবার রাষ্ট্র সমাজ সবক্ষেত্রে নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে হবে। এ জন্য আধিপত্যবাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে দায়িত্বশীলদের আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের দায়িত্বশীল ভাইয়েরা ব্যক্তিগত সকল কাজের মাঝেও দ্বীনের এই মহান দায়িত্বকে সঠিক ভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজেদের ও সংগঠনের ভারসাম্যপূর্ণ কাজের সমন্বয় করতে হবে। একই সাথে আমাদেরকে বহুবিধ যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ইকামাতে দ্বীনের একাজে একনিষ্ঠ হয়ে সবার কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিতে হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button