জামায়াত এদেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর

# কয়রায় পথ সভায় মাওলানা আবুল কালাম আজাদ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জামায়াত এদেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমরা এমন এক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের আধিকার নিশ্চিত হবে। দেশে সাংবিধানিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মূলত, জামায়াত একটি কল্যাণকামী ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে আমরা কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতায় পিছপা হইনি বরং সবকিছু উপেক্ষা করেই আমাদেরকে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ তাদের সততা দিয়ে তিনটি মন্ত্রণালয় দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিচালনা করেছেন। আর এভাবেই জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে চাঁদাবাজ, লুটেরাদের প্রতিহত করে রাষ্ট্রের সকল স্তরে সততার সর্বোচ্চ নজীর স্থাপন করতে চায়। এ জন্যই এখন জামায়াত গণমানুষের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটা সুখী, সমৃদ্ধশালী, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’ তিনি স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে ন্যায় ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ আহ্বান জানান। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঝিলিয়াঘাটা বাজারে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। কয়রা উপজেলা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ পরিচালনায় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি প্রভাষক মো, নুরুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাকিম বিল্লাহ, যুব বিভাগের ইউনিয়ন সভাপতি ডি এম জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক নেজওয়ানুল করিম।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে দেশ যখন পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে ক্রমান্বয়ে স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই কিছু সংখ্যক স্বার্থাণ্বেষী দুষ্কৃতিকারী ঘের দখল, জমি দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজ ও টেন্ডার বাণিজ্য করে যাচ্ছে। ফলে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও জনগণের প্রত্যাশার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজের সকল জনগণের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, দিন মজুর, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণকে ধৈর্য্য ও প্রজ্ঞার সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ও সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সুযোগ বুঝে কোনো কুচক্রীমহল যেন দেশে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সুন্দর দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। গণ মানুষের সেই আকাংখা পূরণের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তারা শাসক না হয়ে জনগণের সেবক হবে ইনশাআল্লাহ। এই জমিনে ইসলামের বিজয়ের পতাকা না উড়ানো পর্যন্ত যে কোন ত্যাগ ও কুরবানী দিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতা-কর্মী সবসময় প্রস্তুত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।#