বটিয়াঘাটায় জোরপূর্বক কৃষি প্রজেক্টের ভিতর দিয়ে বালি সরবরাহের পাইপ স্থাপন

নিরাপত্তা বিঘিœত, মৎস্য ও কৃষি দ্রব্য ক্ষতির সম্মুখিন
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : জলাশয় বা বিলান জমি ভরাট সংক্রান্ত সরকারি আইন-বিধি লঙ্ঘণ করে খুলনার বটিয়াঘাটায় অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি কৃষি প্রজেক্টের ভিতর দিয়ে বালি সরবরাহের পাইপ লাইন স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই নিরাপত্তা ঘেরা ভেঙ্গে বেআইনীভাবে স্থানীয় এক নব্য সন্ত্রাসী জোরপূর্বক বালির পাইপ স্থাপন করে। ফলে কৃষি প্রজেক্টের নিরাপত্তা বিঘিœত এবং মৎস্য ও কৃষি দ্রব্যাদী ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এদিকে, এ ঘটনার প্রতিকারের দাবিতে ‘গ্লোরি এগ্রো প্রজেক্ট’র মালিক জাহিদ হাবিব বুধবার (২৫ জুন) অভিযুক্ত মাহাতাবের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দাখিল হওয়ার পর নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ৯ টা ৪৭ মিনিটে মাহাতাব নামের ব্যক্তি ‘গ্লোরি এগ্রো প্রজেক্ট’র মালিক জাহিদ হাবিবকে মুঠো ফোনে ফোন করে বলে আপনার প্রজেক্টের ভিতর দিয়ে আমাদের বালি সরবরাহের পাইপ ঢুকাবো। কিন্তু এ কথায় তিনি রাজি না হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বাজে মন্তব্য করে এবং হুমকি দিয়ে বলে, ‘আমার পাইপ এই সোজা যাবে আপনার প্রজেক্টের ভিতর দিয়ে, পারলে ঠেকান’। এ কথা বলে ফোন কেটে দেয়। নিষেধ করা সত্ত্বেও পরে ২৫ জুন বেলা ১১ টায় উক্ত ব্যক্তি তার লোকজন নিয়ে ঘেরা ভেঙ্গে জোরপূর্বক প্রজেক্টের ভিতর দিয়ে বালির পাইপের লাইন স্থাপন করে। যার কারণে বারবার পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষি প্রজেক্টের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে এবং মৎস্য ও কৃষি দ্রব্যাদী ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাহাতাব বলেন, ‘মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে এটা সত্যি। তবে আমি কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। জাহিদ হাবিব ভাইয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক বিধায় তার যায়গার ওপর থেকে ১০টি পাইপ দিয়েছি। তার যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে আমি তার যায়গার উপর থেকে পাইপ নেব না।’
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা খায়রুল বাসার বুধবার রাতে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে অভিযোগের কোন কপি এখনও পর্যন্ত হাতে পাইনি। তবে পেলে তদন্তপূর্বক সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।