জাতীয় সংবাদ

পটিয়া থানার ওসির অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মোঃ নাজমুন নূরের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পটিয়া ইন্দ্রপুল বাইপাস এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের টুকরো ফেলে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। তিনি ওসির অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেন। এর আগে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট দেন খান তালাত মাহমুদ রাফি। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে এ পোস্ট করেন তিনি। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করা হবে, ততক্ষণ আমাদের অবস্থান থাকবে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পটিয়া থানার সামনে ওসি আবু জাহেদ মোঃ নাজমুন নূরের অপসারণের দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে প্রথমে ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘেরাও কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি থানার সামনে চট্টগ্রাম আরাকান মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অবস্থান নেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, বিষয়টি আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর তালুকদারকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মোঃ নাজমুন নূর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন-চার জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button