
২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছেন বলে হুমকি দেন শেখ হাসিনা
প্রবাহ রিপোর্ট : আদালত অবমাননার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাস এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমকে ২ মাসের কারাদ- দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় সাজা ঘোষণা করা হলো।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় দেন। দ-প্রাপ্তদের গ্রেফতার অথবা আত্মসমর্পণের দিন থেকে এই কারাদ- কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায় ঘোষণা শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, “আমরা ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করেছিলাম যে শেখ হাসিনা ও গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলের মধ্যে একটি টেলিফোন অথবা জুমে কথোপকথন হয়। সেখানে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি ২২৭ জনকে হত্যা করার লাইসেন্স পেয়ে গেছেন, যারা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং যেসব লোকেরা আওয়ামী লীগের লোকদের ওপর হামলা করার জন্য দায়ী তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
তাজুল ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনা হুমকি দিয়েছিলেন, যে সমস্ত অফিসার যারা এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত তাদের তিনি থ্রেট করেছিলেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে তাদের চাকরি করতে হবে এটা যেন তারা মাথায় রাখে। এই কথোপকথনের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব মামলা চলমান আছে সেই মামলার সাক্ষী, বাদি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লোককে তিনি হুমকি দিয়েছেন। এর দায়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১১ এর ৪ ধারা অনুযায়ী আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেছিলাম।” তিনি বলেন, “আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রথমে শোকজ নোটিশ জারি করে যা তাদের বাসায় পাঠানো হয় এবং পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। তারপরও তারা হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেননি। এরপর আসামিদের স্টেট ডিফেন্স লইয়ার নিয়োগ করেন এবং এর বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন। আজ এটার উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।”