জাতীয় সংবাদ

লালমনিরহাটে থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতারা

প্রবাহ রিপোর্ট : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর, হামলা, আসামি কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এ সময় আট পুলিশ সদস্য আহত হন। গত বুধবার দিবাগত রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল কোর্ট দুই জনকে এক মাসের করে সাজা দেন। পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে বেলাল ও সোহেল নামে দুই জনের কাছে এক লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করেন বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী বলেন, আমার আদালত থেকে রায় হয়েছে। এই রায় বদলানোর একমাত্র পথ আদালত। এর পরে থানা ঘেরাও, আসামি ছিনিয়ে নেওয়াসহ এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। একটি সূত্র দাবি করছে, গত বুধবার বিএনপির দুই জনকে আটক করার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাতে তারা থানায় আসে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বাগবিত-ার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তোপের মুখে মধ্যরাতে ওই দুই জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। মূলত গ্রেপ্তারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়। এ সময় আট পুলিশ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। লাললমনিরহাট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) জয়ন্ত কুমার সেন বলেন, আসামিকে তারা রাতেই নিয়ে গেছে। এসব বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপি, ডিসি স্যাররা কথা বলছেন। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button