স্থানীয় সংবাদ

মণিরামপুরে ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করায় নববধূকে অবৈধ আটক

যশোর ব্যুরো ঃ
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা বাজার থেকে ২৬ জুন জোর পূর্বক আটক রাখা নববধূ আয়শা খাতুন ওরফে সোহাগী দাসকে ফেরৎ দিয়েছে তার বাবা ও ভাই। ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার আয়শা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীদের কাছে আটক রাখার ঘটনার বর্ণনা দেন। আয়শা খাতুন যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের পরিমল দাসের মেয়ে এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ।
আয়শা খাতুন জানিয়েছেন, তিনি চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীর্ক্ষী ছিলেন। আয়শা খাতুন ও আব্দুর রহিম একই সাথে লেখাপড়া করেন। গত ২৩ জুন সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২৪ জুন এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে আব্দুর রহিমের সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে তারা আবদ্ধ হন। এতে তার উপর ক্ষীপ্ত হন আয়শার পিতার পরিবার। গত ২৬ জুন বিকেল ৫টার দিকে কিছু কেনাকাটার জন্য মণিরামপুরের কুয়াদা বাজারে আয়শা ও তার স্বামী আব্দুর রহিমকে নিয়ে আসলে। ওই বাজারের সানী স্যানিটারীর সামনে থাকা আয়শার মা-বাবাও ভাই সোহাগ দাসের নেতৃত্বে আরো ৭/৮জন তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে বাড়িতে আটক রাখে। আয়শাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তার স্বামী বাদী হয়ে ১ জুলাই যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আগামি ২০ আগস্টের মধ্যে ওই মামলায় বিচারক আয়শাকে ফেরৎ দেয়ার জন্য তার বাবা, মা ও ভাইদের নির্দেশ দেন। মামলার বিষয়টি ২ জুলাই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ফলে আদালতের নির্দেশনাকে সম্মান দেখিয়ে গত ৩ জুলাই সকালে আয়শাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার পিতার বাড়ির লোকজন। এরপরে তিনি যশোরে এ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ, এ্যাডভোকেট তাজুদ্দিন ও এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সামনে আটক রাখার ঘটনা বর্ণনা করেন। এদিনই তার বক্তব্য গ্রহণের পর আইনজীবীরা আয়শা তার স্বামী আব্দুর রহিমের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, আয়শা ২০২৪ সালে কেশবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। #

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button