স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

# শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনে খুশি শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ #

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের অধিনে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ধারাবাহিকতায় এবছর খুলনা নগরীর দৌলতপুরে ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এদিকে, বিদ্যালয় গুলোর ফলাফল প্রকাশের পর কাংঙ্খিত ফলাফল প্রত্যাশিদের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এসময় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনে খুশি শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের অধিনে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সরকারি দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ হতে ২০ জন (এ প্লাস) ও বাণিজ্য বিভাগ হতে জিপিএ- ৪.০০ (এ প্লাস) , মানবিক বিভাগ হতে কোনো (এ প্লাস) অর্জিত হয়নি, অনুত্তীর্ণ ৬ জন, পাশের হার ৯৫.০৮ %। বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৭ জন (এ প্লাস), বাণিজ্য বিভাগ হতে ১ (এ প্লাস) ও মানবিক বিভাগ হতে ৩ টি (এ প্লাস) অর্র্জিত হয়েছে, অনুর্ত্তীন ১ জন, পাশের হার ৯৮.৪৪%। দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৬ জন (এ প্লাস), বাণিজ্য বিভাগ হতে ৩ (এ প্লাস) ও মানবিক বিভাগ হতে ৩ টি (এ প্লাস) অর্র্জিত হয়েছে, অনুর্ত্তীন ১৯ জন, পাশের হার ৮৬%। আফিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের (জেনারেল) বিজ্ঞান বিভাগ হতে ১ জন (এ প্লাস), বাণিজ্য বিভাগ হতে ১ (এ প্লাস) অর্র্জিত হয়েছে, অনুর্ত্তীন ৩৯ জন, পাশের হার ৬০.২ %। মহেশ^রপাশা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ হতে ১ জন (এ প্লাস), বাণিজ্য বিভাগ ও মানবিক বিভাগ হতে কোনো (এ প্লাস) অর্র্জিত হয়েছে, অনুর্ত্তীন ২১ জন, পাশের হার ৪৪.৭৪ %। মহেশ^রপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ১৬ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ১৫ জন, অনুর্ত্তীণ ১ জন, পাশের হার ৯৩.৭৫%। মহেশ^রপাশা কৃষ্ণমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ২৮ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ২১ জন, অনুর্ত্তীন ৭ জন, পাশের হার ৭৫%। কার্তিকূল সাহেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ৩২ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ২৩ জন, একজন (এ প্লাস) অর্জন করে, অনুর্ত্তীণ ৯ জন, পাশের হার ৭১.৮৭%। মধ্যডাঙ্গা আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ হতে ও মানবিক বিভাগ ১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১১ ও অনুর্ত্তীণ ৩ জন, পাশের হার ৭৮.৫৭%। দৌলতপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বানিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, তার মধ্যে ১ জন ( এ প্লাস) অর্জন করেছে, অনুত্তীর্ণ ২ জন, পাশের হার ৮৬.৬৬%। শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ে বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে উত্তীর্ণ ১৫ জন, অনুর্ত্তীণ নেই, ১ জন ( এ প্লাস) অর্জন করেছে, পাশের হার ৮৩.৩৩%। শেখ আব্দুল ওহাব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ২৫ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ২০ জন, অনুর্ত্তীণ ৫ জন, পাশের হার ৮০%। দেয়ানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ৬২ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৩ জন, অনুর্ত্তীণ ২৯ জন, পাশের হার ৫৩.২৩%। শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ২৬ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ১৩ জন, অনুর্ত্তীণ ১৩ জন, পাশের হার ৫০%। আড়ংঘাটা মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ হতে ১০৭ জন পরীক্ষার্থ মধ্যে উত্তীর্ণ ৫৭ জন, অনুর্ত্তীণ ৫০ জন, পাশের হার ৫৩.২৭%।
এ বিষয়ে দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফলপ্রত্যাশির অভিভাবক তানিয়া সুলতানা জানান, আলহাম্দুল্লিাহ মেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল জিপিএ-৫.০০ পাবে। তারপরও আমি খুশি। মেয়ের এমন ফলাফলের জন্য আমি সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকলের কাছে মেয়র ভবিষৎতের জন্য দোয়া চাই যে মেয়ে তার লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে পারে।
এ বিষয়ে অপর অভিভাবক মো. মিজানুর রহমান নাদিম জানান, প্রথমেই আল্লাহ তালার শুকরিয়া জ্ঞাপণ করছি, মেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য। পাশাপাশি সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আমার মেয়ের ভালো ফলাফল অর্জনে সহযোগীতা করেছেন। মেয়ের প্রতি প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল, আশা করে ছিলাম মেয়ে জিপিএ-৫.০০ অর্জন করবে, তবে জিপিএ-৪.০০ পেয়েছে এটা কম নয়। তার সর্ব্বোচ দিয়ে চেষ্টা করেছে ভালো ফলাফল অর্জনের, এতেই আমি অভিভাবক হিসাবে অত্যন্ত খুশি। সকলের কাছে মেয়ের অনাগত ভবিষ্যৎতের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে সরকারি দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার জানান, আলহামদুল্লিাহ বিদ্যালয়ের ফলাফলে খুশি। বিগত দিনে ফলাফল প্রকাশে কোয়ান্টিটি দেখলে এবার শিক্ষার্থীর কোয়ালিটি মূল্যায়ণ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ, যে শিক্ষার্থী নিজের পড়ার টেবিলের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছে, তারই এবার সাফল্যে অর্জন করেছে, ভালো ফলাফল করেছে। যে সকল শিক্ষার্থী নিজেকে পড়ালেখার মধ্যে মনোনিবেশ করাতে পারি নাই, তারা ভালো ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সুতারং, ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজের অধ্যায়ণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, এর বিকল্প নাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button