অতিবৃষ্টিতে মণিরামপুর পৌরএলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা!

# পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই! #
# ভোগান্তিতে পৌরবাসি #
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা মণিরামপুর পৌরবাসীর এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিমাত্রার বৃষ্টিপাতে পৌর এলাকার অনেকাংশে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মূলত সড়কে জমে থাকে পানি। এতে পথচারী ও যানবহন চলেচলের ক্ষেত্রে দূর্ভোগে পড়তে হয়। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ভারী বৃষ্টিতে পৌরসভার অনেক এলাকায় এমন জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১০ নভেম্বর মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের ১২ টি গ্রাম নিয়ে মণিরামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ সালের ৩১ জুলাই এটি খ শ্রেণীতে এবং ২০১৯ সালে ৪ মে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। প্রায় ৫০ হাজার জনবসতি রয়েছে এই পৌরএলাকায়। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্বেও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যা নাগরিক জীবনে চরম ভোগান্তি বয়ে নিয়ে আসে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড গুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করায় ধীরে ধীরে পানি নিষ্কশনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, রাস্তার পাশের বেশির ভাগ ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ড্রেনগুলো রয়েছে বন্ধ। যার কারণে পানিতে তলিয়ে যেয়ে সড়ক ডুবে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় কিছু কিছু সড়কের কার্পেটিং উঠে যেয়ে বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদূর্ভোগ বাড়ছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। পাড়া, মহল্যার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম। আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কাদাপানির রাস্তায় পথচারি ও যানচলাচলে দারুন সমস্যা হচ্ছে। পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনে পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
দূর্গাপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টিতে পৌরএলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। দীর্ঘদিন জমে থাকা নোংরা পানিতে পচা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
পথচারী আজিজ বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পৌর এলাকায় জলাব্ধতা সৃষ্টি হয় । এসবের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় বৃষ্টির পানি সহজে নিষ্কাশিত মহতে পারে না। আর এতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, বাড়ে ভোগান্তি।
পৌরসভার বাসিন্দা প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ঠিকমত পরিস্কার না করায় অতিবৃষ্টিতে পৌরএলাকয় পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবন্ধতা।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নিশাত তামান্না বলেন, বর্ষাকাল শুরুর আগে থেকেই ড্রেন পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে ক্যানেল করার কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিনের সমস্যা একদিনে সমাধান করা কঠিন। ইতিমধ্যে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো টেন্ডারে চলে গেছে। প্রাথমিকভাবে জলাবন্ধতা নিরসনের জন্য পৌরসভার লোকবলের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০জন লোক দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। অচিরেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।