স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ’র নিয়োগ প্রার্থীদের যোগদান সম্পন্ন

# আদালতে ও ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন তথ্য-প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় মোকদ্দমা টি না মঞ্জুর
# মোকদ্দমা নং দেওয়ানী -১১৫/২০২৫ ও আদেশ নং-১,তাং-২জুলাই-২০২৫#

স্টাফ রিপোর্টার : দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ গত ১৩ জুন ২০২৫ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী নিয়োগ কমিটির সুপারিশ মতে ৮ জুলাই ২০২৫ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাতটি পদে উত্তীর্ণ প্রথম স্থান অধিকারীদের ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে যোগদানের জন্য সকলকে চিঠি পাঠানো হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে থেকে ৯ জুলাই অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব সহকারী (পদার্থ বিজ্ঞান), ল্যাব সহকারী (জীববিজ্ঞান) ও অফিস সহায়কসহ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫জন যোগদান করেন। ১০ জুলাই ল্যাব সহকারী(রসায়ন বিজ্ঞান)যোগদান করেন।উপাধ্যক্ষ পদ ব্যতীত অন্যান্য পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন। উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান প্রক্রিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি ক্রমে হবে।শূন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বহুল প্রচারিত দুইটি দৈনিক পত্রিকা যার একটি স্থানীয় ও একটি জাতীয় পত্রিকা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগের সকল কাজ সম্পন্ন করে ১৩ জুন ২০২৫। পরবর্তীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নিকট ও মহসিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে। খুলনার দৌলতপুর আদালতের সহকারী জজ আদালতে বিষয়টি দুই পক্ষের শুনানি শেষে অনিয়ম ও দূনীতির কোন তথ্য-প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় মোকদ্দমাটি না মঞ্জুর করে দেয় আদালত। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রাপ্তি সাতজনের ৬ জনের যোগদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো।পরবর্তীতে ১। মোঃ শামীম হোসেন, প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ সরকারী পাইওনিয়র মহিলা কলেজ, খুলনা,২। এস এম ফরিদ আক্তার সদস্য তদন্ত কমিটি ও সদস্য কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, ও চেয়ারম্যান ৫ আড়ংঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ ৩। ইসমাইল হোসেন প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, মহসিন মহিলা কলেজ খুলনা কে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত শেষে সেখানে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় যার মোকদ্দমা নং দেওয়ানী -১১৫/২০২৫ বাদী-হাদিউজ্জামান ও তানভীর আহমেদ। আদেশ নং-০১,তারিখ-২জুলাই-২০২৫।দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ এর উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ১.শফিকুল আলম ২. শফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী, তানভীর আহমেদ এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী, হাদীউজ্জামান তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে যথাযথ ও গ্রহণযোগ্য তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থাপন বা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ ও শিক্ষামন্ত্রণালয় ১০জানুয়ারী.২০২৪ পরিপত্র ও সর্বশেষ পরিমার্জন অনুসরণ করে দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ’র শূন্য পদে ১জন উপাধ্যক্ষ,১জন অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি, ১জন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা বিষয়ে ১ জন করে মোট ৩ জন ল্যাব সহকারি ও ১জন অফিস সহায়ক সহ সর্বমোট ৭টি পদে নিয়োগ কার্যক্রমে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি এবং উপরোক্ত অভিযোগ এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। নিয়োগ বিষয়ে সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান বলেন, গত ১৩ জুন-২০২৫ অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন কারী কর্মকর্তাগন অধ্যক্ষ অফিস কক্ষে সমপূর্ণ সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত মহোদয়ে আমার এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের উপস্থিতিতে তাঁরা নিয়োগ পরীক্ষার পদ ভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করেন এবং পরীক্ষা গ্রহন ও খাতা মূল্যায়ন করে সমপূর্ণ,স্বচ্ছ ভাবে ফলাফল প্রস্তুত করে পদ ভিত্তিক উত্তির্ন ১ম স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দানের জন্য সুপারিশ করে দিয়েছেন। সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়ন করার সুযোগ ছিল না-বাস্তবে কোন রকমের অনিয়ম ঘটেনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি রশিদা আক্তার বলেন, ফলাফল অনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ না করার আগেই যদি কোন প্রার্থী এধরনের অমূলক অভিযোগ করেন। তাহলে তো পূনরায় পরীক্ষা হলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। যেহেতু কোন অনিয়ম হয়নি। অধ্যক্ষ বলেন, সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ বিধি অনুসরণ করেই করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র পরীক্ষা বহনকারী কর্মকর্তাগন আমার অফিস কক্ষে বসেই প্রস্তুত করেছেন এবং তাঁরাই পরীক্ষা গ্রহন করে সচ্ছ ভাবে ফলাফল প্রস্তুত করে পদভিত্তিক ১ম স্থান অধিকারীদেরকে নিয়োগ দানের জন্য সুপারিক করে দিয়েছেন। যেহেতু ৭টি পদে স্বতন্ত্র পদের পরীক্ষা তাই পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে। কোন ধরনের অনিয়ম বা ‘অস্বচ্ছ কিছুই করা হয়নি। সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button