চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ব্র্যাক শিক্ষার্থীদের

প্রবাহ রিপোর্ট : দেশের প্রতিটি জেলায় রাজনৈতিক পরিচয়ে মাঠ-ঘাট, বাজার-দোকানপাট, এবং বাসস্ট্যান্ড-টেম্পুস্ট্যান্ডগুলোতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য ইন্টেরিমকে (অন্তর্বর্তী সরকার) ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা না গেলে আরও দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের সূচনা হবে এবং পাশাপাশি জননিরাপত্তায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাই বাধ্য হয়ে পথেঘাটে আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার নগরীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। দেশব্যাপী চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে যাদের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাদের কমিটি অনতিবিলম্বে অফিশিয়ালি প্রত্যাহার করতে হবে। ভবিষ্যতে আবারও কেউ একই কাজ করার দুঃসাহস দেখালে তাকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। চকবাজার হত্যাকা-ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের দলীয় শেল্টার দেওয়া রাঘব বোয়ালদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফারাবি জিসান বলেন, দেশব্যাপী চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। একটা দল সরকারকে চাপ দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত। আমরা বলতে চাই, ১৭ বছরের পুরনো পথে হাঁটবেন না। তাহলে একই পথে পালাতে হবে। গতকালের ঘটনা ভাইরাল না হলে মামলা হতো না। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু দলের কাছে জিম্মি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো দলের কমিটি থাকতে পারবে না। সে ছাত্রদল হোক অথবা শিবির হোক। সবাইকে নিষিদ্ধ করতে হবে। না হলে কোনো দিন ব্যবসায়ীর মতো আমাদেরও পাথর ছুড়ে মারবে। বিএনপি নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তারা ইন্টেরিম সরকারকে চাপ দিচ্ছে।