স্থানীয় সংবাদ

তেরখাদায় পুলিশের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টারঃ তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার মামলার প্রধান আসামি মো. পলাশ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনার রূপসা উপজেলার একটি চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান চালায় তেরখাদা থানা পুলিশ।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার মূল হোতা পলাশ শেখকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন দুপুরে তেরখাদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিঃ) মেহেদী হাসান একদল ফোর্স নিয়ে বারাসাত গ্রামে একটি মারামারির মামলার আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান চালান। অভিযানে তালিকাভুক্ত আসামি মো.পলাশ শেখকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি দোকানের পেছন দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পার্শ্ববর্তী বিল এলাকা থেকে ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পলাশ শেখের চিৎকারে আশপাশের বাড়ি ও দোকান থেকে রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি হাতে প্রায় ৩০ জনের একটি দল পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পলাশকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলায় এসআই রথীন্দ্রনাথ পোদ্দার, কনস্টেবল মো. সোহেল রানা ও জয়ন্ত রায়সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এজাহারে বলা হয়, মামলার ২ নম্বর আসামি হাবিব শেখ কনস্টেবল সোহেল রানাকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে কোপ দিলে সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার ডান বাহুতে লাগে। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। ঘটনার পরদিনই এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে গত ৯ জুলাই খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ১৫ জন অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক মো. নাজমুল আহসান শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত কেউ পার পাবে না। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিক বলেন, গ্রেফতারকৃত পলাশকে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে শুনানী হয়নি বলে তিনি জানান। এলাকাবাসী জানায়, ৫ আগস্টের পর পলাশের নেতৃত্বে এলাকায় একটি দুর্বৃত্তচক্র বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, ভাংচুর আর অত্যাচার ঝুলুম শুরু করে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button