আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে, নিহত ৬

প্রবাহ ডেস্ক : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঠাট্টা জেলার মাকলি এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। উদ্ধার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার সকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন। এধি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঠাট্টা বাইপাসের কাছে ঘটেছে। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক বিবৃতিতে এধি রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, “নিহত ৬ জনের মরদেহ প্রাথমিকভাবে ওরাঙ্গি টাউনের একটি মর্গে নেওয়া হয়, পরে মরদেহগুলো করাচির সোহরাব গোথে এধির মর্গে স্থানান্তর করা হয়।” রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিপি জানায়, বাসটি করাচি থেকে কেনঝার লেকে ভ্রমণে যাচ্ছিলো। বাসটি একটি বড় বাঁক নেওয়ার সময় উল্টে যায়, এতে ছয়জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং ডজনখানেক আহত হন। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের করাচির বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। একই দিনে সিন্ধুর খাইরপুর জেলায় গাম্বাট ন্যাশনাল হাইওয়েতে আরেকটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যায়। এতে অন্তত একজন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। এপিপি জানিয়েছে, বাসটি করাচি থেকে সোয়াবি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করে। সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ বাস দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র আবদুল রশিদ চন্নার মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি ঠাট্টার ডেপুটি কমিশনারকে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। একইসঙ্গে খাইরপুরে হওয়া দুর্ঘটনা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী শোক জানান এবং জনগণকে সচেতনভাবে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান। পাকিস্তানের মহাসড়ক ও হাইওয়েতে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, চালকদের ক্লান্তি, যানবাহনের খারাপ অবস্থা এবং দুর্বল ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ — সবকিছু মিলেই এসব দুর্ঘটনা বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button