রূপসায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে যুবদল নেতাকে

# ২০ জনকে আসামী করে মামলা #
স্টাফ রিপোর্টারঃ রূপসায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সাবেক যুবদল নেতা তৈয়ব আলী (৩০)। গত ২ আগস্ট রূপসা উপজেলার যুগিহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই সোহেল বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন রূপসা থানার এসআই আশরাফুল আলম। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম তৈয়ব আলী রূপসা যুগিহাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত কেসমত আলীর ছেলে। আসামীরা এলাকায় হিংস্র প্রকৃতির। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে সাধারন মানুষের ভয়ভীতি দেখায়ে আসছে। আসামীদের ভয়ে এলাকার সাধারন মানুষ ভীত থাকে। গত ২ আগস্ট বিকাল ৫টার সময় আইচগাতী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির ফরম বিক্রয়কে কেন্দ্র করে বিগত দিনের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাবেক যুবদলের সভাপতি আমার ছোট ভাই মোঃ তৈয়ব আলীর সাথে বাগদন্ডে লিপ্ত হয়। এরই জের ধরে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুগিহাটি করিমের মোড়ে অন্তর মেডিসিন দোকানের সামনে আমার ছোট ভাই মোঃ তৈয়ব আলী বসেছিল। তখন আসামীগন তাদের হাতে থাকা রাম দা লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে আমার ভাইয়ের উপর হঠাৎ করে আক্রমন করে। তখন ১নং আসামী হুকুম দিয়ে বলে শালাকে শেষ করে দে। ‘হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে সকল আসামীগন একযোগে আমার ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে। ২নং আসামী সাহারুল ইসলাম ধলার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে আমার ভাই তৈয়ব আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করে স্বজোরে কোপ মারলে আমার ভাই উক্ত কোপ বাম হাত দিয়ে ঠেকালে হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। ১নং আসামী মনিরুল ইসলাম মনির হাতে থাকা দা দিয়ে আমার ভাই তৈয়ব আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে উক্ত কোপ ভাইয়ের বাম পায়ের আঙ্গুলের উপর লেগে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এজাহারভুক্ত আসামীসহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা হাতে থাকা রড দিয়ে আমার ভাই তৈয়ব আলীকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো ফোলা যখম করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথম সদর হাসপাতালে নেয়া হয়, অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো- মৃত আব্দুর রাজ্জাক (জিদ্দা বুড়)’র ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি (৩৫), মৃত সলেমান শেখের ছেলে সাহারুল ইসলাম ধলা (৩২), মৃত নুরুল আমিন (সুদির বাবু)’র ছেলে সামসুর শেখ (৩৮) ও সোহাগ শেখ (৩৫), মৃত আবু বক্কর শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (৪৫) ও খালিদ শেখ (৪০), নোয়াব আলী শেখের ছেলে মিঠু শেখ (৩৫), মৃত কাউমের ছেলে মোহাম্মদ (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন। আসামীরা এলাকায় কতিপয় বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় থেকে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। যা দলের ভাবমূর্র্তি নস্ট হচ্ছে। এর মধ্যে আসামী জিহাদ শেখ আলোচিত হাসান বাহিনীর প্রধান নিয়ামুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। তারা ৫ আগস্টের আগে আ’লীগের মিছিল মিটিং-এ সামনের সারিতে থাকতো। ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টিয়ে কতিপয় সুবিধাভোগী বিএনপি নেতার ঘাড়ে উঠে এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চলেছে বলে বাদী জানান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে একাধিকবার অভিযান করেছি। তবে পাইনি। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।