স্থানীয় সংবাদ

১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাঃ সম্পাদক মাজুর বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ : তদন্ত কমিটি গঠন

# অভিযোগে ওয়ার্ডের ৫৭% সদস্যের স্বাক্ষর #

স্টাফ রিপোর্টারঃ খালিশপুর ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাঃ সম্পাদক মফিজুর রহমান মাজু বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকায় দলের স্বার্থে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি করেছেন ওয়ার্ড বিএনপির ৪১জন সদস্য। এ কমিটির সদস্য হচ্ছে ৭১ জন। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগনামা তারা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকের নিকট জমা দিয়েচে। এ সংক্রান্ত মহানগর বিএনপি একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন। তদন্ত টিম প্রধান রেহানা ঈসা বলেন, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাঃ সম্পাদক মাজুর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত চলছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দেয়া হবে। এ জন্য তাকে ২/১ দিনের মধ্যে মহানগর কার্যালয়ে ডাকা হবে বলে তিনি জানান। ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফারুখ হিল্টন, জাহিদ হোসেন বাবু, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ হাই কালুসহ ৪১ জন সদস্য এ দরখাস্তে স্বাক্ষর করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, “আমরা ১০নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাধারণ কর্মী ও শুভাকাঙ্খীগন। ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মাজুর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাসহ ইতিপূর্বে ছাত্রদল করা অবস্থায় মাদকের কারনে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। বর্তমানে একটি মাদক মামলায় মফিজুর রহমান মাজুর সাজা হয়েছে। যা আমাদের দলের জন্য অশুভ সংকেত। মাদক মামলার সাজার খবরটি পত্রিকায় ফলাও ভাবে প্রচারিত হয়েছে। তার নামে ৮/১০টি মাদক মামলা রয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই ওয়ার্ডটি আলহাজ্জ রকিবুল ইসলাম বকুল ভাইয়ের ওয়ার্ড। তার সুনামের উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, মফিজুর রহমান মাজু দলীয় পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক পয়েন্ট থেকে টাকা উঠায় তার এক সহকারীকে দিয়ে। আমরা যখন সই-স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য ওয়ার্ড বিএনপি ৭১ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করি তখন জানতে পারি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আহসান উল্লাহ বুলবুল ওয়ার্ডের সদস্যদের স্বাক্ষর দিতে নিষেধ করেন। এর কারন কি তা বোধ গম্য নয়, তা হলে তিনি কি এই মাদক এর বিষয়টি ধামাচাকা দিতে চেষ্টা করছেন?” ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আহসান উল্লাহ বুলবুল অভিযোগ দাখিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমি যদি নিষেধ করতাম তাহলে দরখাস্তে কেউ কি স্বাক্ষর করতেন। আমি কেন নিষেধ করবো। বিষয়টি থানা ও মহানগর কমিটি দেখছে। তদন্ত করে যদি অভিযোগের সত্যতা পায় তাহলে তার বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। সেখানে আমার কিছু বলার বা করার নেই।” খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি এড. মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, মাজুর অভিযোগ তদন্ত চলছে। তবে কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেয়া যাবে তা এখন বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। বিএনপি নেতা মোবাশ্বের হোসেন শ্যামল বলেন, প্রতিটি নেতা-কর্মী স্বপ্রনোদিত হয়ে দরখাস্তে স্বাক্ষর করেছেন। তবে মাজু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরখাস্তে নেতা-কর্মীদের ভূল কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা আছে। তবে তা অনেক আগের। আ’লীগের আমলে বিএনপি করার দায়ে হোয়াইট আর পুলিশ তাকে ধরে মাদক দিয়ে চালান দেয়। তিনি নেতা হওয়ার পর ওয়ার্ড থেকে মাদক দূর করতে কতবার যে ওসিকে মোবাইল করেছে তার হিসেবে সঠিক করে তিনি বলতে পারবেন না। ওয়ার্ড মাদক মুক্ত রাখতে তার চেষ্টার কমতি নেই। তারপরও একটি মহল তাকে এ অভিযোগে অভিযুক্ত করতে চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তিনি যখন ছাত্রদল করতে তখন দরখাস্তকারী নেতাদের মধ্যে অনেকে রাজনীতি করতো না। তারা কিভাবে জানলো তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে দল কখনও শোকজও করেনি। বরখাস্ত থাক দূরের কথা বলে তিনি দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button