বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারত নতুন বিধিনিষেধ আরোপ

বেনাপোল প্রতিনিধি ঃ ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) আবারও বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সোমবার (১১আগস্ট) জারি করা এক নতুন প্রজ্ঞাপনে ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাটপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন থেকে কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়েই এসব পণ্য রপ্তানি করা যাবে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যেসব পণ্য পড়েছে পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি, পাটের বস্তা বা ব্যাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া উল্লিখিত পণ্যগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলপথে যায়। মাত্র ১০ শতাংশ পণ্য সমুদ্রপথে রপ্তানি হয়। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই চারটি পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে নভসেবা বন্দর ব্যবহার করতে হবে। ভারতের এই নতুন বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল স্থলপথে রপ্তানির সহজ পথটি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। গত কয়েক মাসে ভারত বেশ কয়েক দফায় বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এছাড়া, গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতের সিএন্ডএফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।