বেনাপোলে অনলাইন জুয়ায় ইকবাল কোটিপতি

যশোর ব্যুরো ঃ বেনাপোল কলেজপাড়া এলাকার ইকবাল কয়েক বছর আগেও ছিলেন সাধারণ এক স্টুডিও কর্মী। এখন তিনি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, বিলাসবহুল বাড়ির কর্তা ও জমজমাট আড়ৎ ব্যবসার উদ্যোক্তা। কিন্তু এই অর্থবিত্তের আসল উৎস অনলাইন জুয়ার নেটওয়ার্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজারের এই ব্যবসায়ী ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্রিকেট ম্যাচ, ক্যাসিনো গেমস ও লটারির বাজি পরিচালনা করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। দীর্ঘ দশ বছরের বেশি সময় ধরে এই অবৈধ ব্যবসা চালালেও বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারের পর মোটা অংকের টাকায় ছাড় পেয়ে পুনরায় জুয়ার আসর বসিয়েছেন।
ইকবাল বেনাপোল পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় নামে-বেনামে জমি, বাড়ি ও গাড়ি কিনেছেন। নিজের পরিচয় ঢাকতে আড়ৎ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন। সামাজিক মর্যাদা পেতে “দারুল উলুম বোয়ালিয়া কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা” স্থাপন করেছেন। এমনকি তিনটি আধুনিক হারভেস্টার মেশিন কিনে ভাড়ায় চালিয়ে বৈধ ব্যবসার আড়াল তৈরির চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ইকবালের একটি গোপন কক্ষে অত্যাধুনিক সেটআপ বসানো আছে যেখানে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে তিনি দেশি-বিদেশি গ্রাহকদের বাজি ধরতে সুযোগ দেন এবং কমিশন নেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে (মামলা নং-১৫) অপহরণ মামলা রয়েছে। জামিনে বেরিয়েই তিনি পুনরায় পুরনো পেশায় ফিরে গেছেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি,ইকবালের অনলাইন জুয়ার নেশায় তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের পথে, যা রোধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ মে সরকার “সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৫” অনুমোদন দিয়ে অনলাইনে সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ করেছে।