আগামীর পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই —অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# খালিশপুরে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আগামীর পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। সকলকে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে গাছ লাগানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গাছ আমাদের পরিবেশের অন্যতম উপাদান। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জামায়াতে ইসলামী জনস্বার্থে সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে সারাদেশে বৃক্ষরোপন ও গাছের চারা বিতরণ করছে। তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হল পরিবেশ সুরক্ষার জন্য গাছ লাগানোর একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম। এতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করা হয়। তিনি আরও বলেন, বৃক্ষ মানুষের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও, ফলজ গাছ থেকে ফল পাওয়া যায় এবং কাঠও পাওয়া যায়। তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ক্রিসেন্ট আলীম মাদরাসার উদ্যোগে মাদরাসা প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ ও শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, আদর্শ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বি এল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, মাদরাসার সহকারী সুপার আব্দুল মালেক, মাওলানা বদরুজ্জামান, ক্রিসেন্ট জুট মিলের সাবেক সিবিএ নেতা এস এম মাহফুজুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা আসাদুজ্জামান, আবু সাঈদ, আব্দুল আওয়াল, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাস্টার শাফিকুল আলম বলেন, বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, এটি মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে গাছই হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমরা রাজনীতির বাইরেও সমাজ ও পরিবেশের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে চাই। বৃক্ষরোপণের এই উদ্যোগ আমাদের তরুণদের সচেতন ও দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, আজ আমরা শুধু চারা বিতরণ করিনি, আমরা ভবিষ্যতের জন্য একটি আশার বীজ বপন করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি গাছ, একটি প্রাণ-এই চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করা, বাড়ির আঙিনায় কিংবা রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং ফলজ গাছ রোপণের মাধ্যমে খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বাড়ানো।