স্থানীয় সংবাদ

দায়িত্ব পালনে অর্ধেকাংশ পরিষদে নেই নির্বাচিতরা কাজকর্ম চলছে সরকারি কর্মকর্তা ও প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে

# ডুমুরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের হালচাল #

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বর্তমান হালচাল। দায়িত্ব পালনে অর্ধেকাংশ পরিষদে নেই নির্বাচিতরা। ওইসব ইউনিয়নে সরকারি কর্মকর্তা ও প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে চলছে কার্যক্রম।
জানা গেছে, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মধ্যে স্বপদে আছেন ১নং ধামালিয়ায় মোঃ জহুরুল হক, ২নং রঘুনাথপুরের মনোজিত বালাও ঠিক আছেন, পরিবর্তন ঘটেছে ৩নং রুদাঘরায়। ফ্যাসিষ্ট ও মালমা জনিত কারণে পদে নেই চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহমেদ। তার স্থলাভুক্ত হয়েছেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শিহাব উদ্দিন (মেম্বার)। ৪নং খর্ণিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার। মাস তিনেক আগে তিনি স্টোক জনিত রোগে মারা যান। বর্তমানে তাঁর স্থলাভুক্ত হয়েছেন উপজেলা রির্সোস সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনির হোসেন। ৫নং আটলিয়ার চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন স্বপদে আছেন। ৬নং মাগুরাঘোনার রফিকুল ইসলাম হেলাল ও ৭নং শোভনার সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্যও ঠিক আছেন। তবে এ দু’জন পরিষদের কাজকর্ম ছাড়া জন সন্মুখে যান খুবই কম। ৮নং শরাফপুরে ছিলেন শেখ রবিউল ইসলাম রবি। তিনি বছর খানেক আগে সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা যান। এরপর ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন প্যানেল চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন দাস মনু (মেম্বর)। ৯নং সাহসের চেয়ারম্যান মোল্ল্যা মাহাবুর রহমান স্বপদে আছেন। তবে ঠিক নেই ১০নং ভান্ডারপাড়ায়। ফ্যাসিষ্ট ও মামলা জনিত কারণে পলাতক আছেন চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দে। তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন কবিরাজ (মেম্বার)। এরপর ১১নং সদরের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু কিছু দিন আগ পর্যন্ত ঠিক ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে তার পরিষদ কার্যালয়ে ক্ষুব্ধ জনতা তালাও ঝুলিয়ে ছিল। প্রতিদিনই তাকে ঘিরে শোনা যাচ্ছে নানা কথা। সুতারং তার পদ নিয়ে কি হতে পারে তা বলা মুশকিল। ১২নং রংপুরের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ চন্দ্র মন্ডল স্বপদে আছেন। তবে ১৩নং গুটুদিয়ার শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন ঠিক নেই। তার স্থলাভুক্ত হয়েছেন উপজেলা সমবায় অফিসার সরদার জাহিদুর রহমান। চেয়ারম্যান তুহিন মামলা জনিত কারণে কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে জমিনে আছেন, নিজের দায়িত্ব ফিরে পেতে আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ফল পাননি। সর্বশেষ ১৪নং মাগুরখালীর চেয়ারম্যান ছিলেন বিমল কৃষ্ণ সানা। তিনি মাস দুয়েক আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান। চেয়ারম্যানদের ঘিরে বিগত এক বছরেই ঘটেছে এই পরিবর্তন ও রদবদল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button