স্থানীয় সংবাদ

কেসিসির ১কোটি ৮১ লাখ টাকা সড়কে নি¤œ মানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ

# দৌলতপুর আয়ুবআলী সড়ক থেকে মোল্লা মোড় এলাকাবাসির অভিযোগ #

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ কেসিসি দৌলতপুর ৫ নং ওয়ার্ড আয়ুবআলী রোড থেকে মোল্লারমোড় পযন্ত সড়কে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজ বিরুদ্ধে। ১কোটি ৮১ লাখ ৯৪ হাজার চারশত টাকা ব্যায়ে এই সড়কে নি¤œ মানের উপকরণ ব্যবহার অভিযোগ উঠেছে
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। আর এই অনিয়মকাজে সহযোগিতা করছেন দায়িত্বরত কেসিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান এমনটি অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার বলেন, আমাদের চলাচলের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন অবহেলায় ছিল। অবশেষে ২০২৪ সালে ১১ ই মার্চ কেসিসি ১ কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করতে মেসার্স খন্দকার এন্টারপ্রাইজকে ওয়ার্কঅর্ডার দেয়। এই কাঙ্খিত সড়ক নির্মাণ শুরু হলে খুব আনন্দ প্রকাশ করি। তবে, নির্মাণ কাজ শুরুতে ঠিকাদার অনিয়ম আর নি¤œ মানের উপকরণ ব্যবহার করে সড়কটি বেহাল অবস্থা করেছে। আর কবে নাগাদ সড়কটি নির্মাণ শেষ হবে এত ধীর গতিতে যে কাজ চলছে যে একদিন কাজ করলে এক মাস বন্ধ থাকে এমন অবস্থা। পুরাতন খোয়া আর শুধু বালু দিয়ে রাস্তা উঁচু করতে থাকে। এছাড়া ড্রেনে পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে পাথরের সাথে খোয়া দিয়ে জোড়া তালি দিয়ে ড্রেন। এছাড়া সড়কের পুরাতন পিচ খুচে নতুন করে খোয়া দিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এসব কিছু না করে সড়কের উপর বালু ফেলে দায় সারা কাজ করছেন। আমরা যখন প্রতিবাদ করতে যাই তখন ঠিকাদার মোঃ সাদি বলেন, আমি কাজ করবনা। আমার এই কাজে আগের থেকে ৪০ শতাংশ টাকা কেটে নিয়েছে তৎকালিন আওয়ামী লীগ নেতা ও কেসিসির কর্মকর্তারা। একই কথা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক রাজা তিনি বলেন, সড়কে নি¤œ মানের খোয়া আর বালি দিয়ে রোলিং করে দিয়েছে। আমরা ঠিকাদার আর প্রকৌশলীকে কাজের সময় দেখতে পাইনা। কোন রকম আসে আর চলে যায়। তাদের দেখা পাওয়া যায়না। একই কথা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ তিনি বলেন, নি¤œ মানের উপকরণ আর দায়সারা কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতনকর্তৃপক্ষর নিকট আমাদের দাবি দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই সড়কটি নির্মাণ হচ্ছে। এই কাজে কোন ধরণের দায়সারা কাজ না করে। সড়কটি যেন সিডিউলের ওয়ার্ক ওয়ার্ডার এর সাথে মিলিয়ে কাজ করে আর বিলম্ব না করে দ্রুত সড়কটি নির্মাণ। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খন্দকাকার এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালক মোঃ সাদি বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভুল বোঝাচ্ছে আমি নিজেই কাজের স্টিমেট দেখিয়ে দিয়েছি। এমনকি ফটোকপি করে তাদের বুঝিয়ে দিছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সত্যি না। এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমার ফোনে সমস্যা আমি পরে কথা বলব। এমনকি নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ আনিসুজ্জামানকে মুঠো ফোনে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে কেসিসি’র প্রধান প্রকৗশলী মোঃ মশিউজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম। আমি তদন্ত করছি কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button