নেইমারের দলে ফেরা নির্ভর করছে ফিটনেসে, জানালেন আনচেলোত্তি

স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে। একের পর এক ইনজুরিতে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থমকে গেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বশেষ খেলেছিলেন তিনি। এরপর পুনর্বাসন, সৌদি আরবের অধ্যায় শেষ করে আবার সান্তোসের হয়ে মাঠে ফিরলেও আগের ধারায় ফেরা হয়নি। তবু নেইমারের লক্ষ্য স্পষ্ট-২০২৬ বিশ^কাপ।
তবে জাতীয় দলে ফিরতে হলে নেইমারকে পেরোতে হবে এক বড় শর্ত। ব্রাজিলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলোত্তি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র প্রতিভা নয়, ফিটনেসই নির্ধারণ করবে নেইমারের জায়গা। ইএসপিএন ব্রাজিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতালিয়ান এই কোচ বলেন, “নেইমারের প্রতিভা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে প্রতিভা কাজে লাগাতে হলে ভালো শারীরিক অবস্থায় থাকা জরুরি। যদি সে শতভাগ ফিট থাকে, জাতীয় দলে ফিরতে কোনো সমস্যাই হবে না।”
চলতি বছরের জুনে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হোটেলে নেইমারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয় আনচেলোত্তির। তখনই কোচ তাকে প্রস্তুতির বার্তা দেন। তার ভাষায়, “আমি নেইমারকে বলেছি, এখনও তোমার হাতে যথেষ্ট সময় আছে। নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে পারলে বিশ^কাপে দলকে অনেক সাহায্য করবে।”
নেইমারকে কোন ভূমিকায় খেলাবেন, সেটিও স্পষ্ট করেছেন আনচেলোত্তি। তিনি জানান, “নেইমারকে আমি আক্রমণভাগের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় চাই। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা স্ট্রাইকার হিসেবে সে ভালো খেলতে পারবে। আধুনিক ফুটবলে উইংয়ে খেলতে হলে বাড়তি শারীরিক শক্তি দরকার, যা এখন তার জন্য কঠিন।”
ফিটনেস নিয়েই অবশ্য কিছুদিন আগে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ^কাপ বাছাইপর্বের দলে নেইমারকে না রাখার কারণ হিসেবে আনচেলোত্তি বলেছিলেন ‘মাইনর ইনজুরি’। কিন্তু নেইমার দাবি করেছিলেন, তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে টেকনিক্যাল কারণে। পরে আনচেলোত্তি পুনরায় পরিষ্কার করে দেন যে বিষয়টি পুরোপুরি ফিটনেস-সংশ্লিষ্ট।
অন্যদিকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও জানিয়েছেন এই অভিজ্ঞ কোচ। তিনি বলেন, “২০২৩ সাল থেকেই ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে চেয়েছি। এখন এক বছরের জন্য চুক্তি করেছি। তবে বিশ^কাপের পর যদি ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) চায়, আমি ২০৩০ সাল পর্যন্ত থাকতে রাজি।”
আনচেলোত্তির অধীনে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে-প্যারাগুয়ে ও চিলির বিপক্ষে জয়, ইকুয়েডরের সঙ্গে ড্র এবং বলিভিয়ার কাছে হার। সামনের মাসে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে সেলেসাওরা। বিশ^কাপ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নেইমারের ফিটনেস নিয়েই ব্রাজিলিয়ানদের প্রত্যাশা ও উদ্বেগ বাড়ছে। উৎস: ইএসপিএন ব্রাজিল