খুলনায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের জামিন নাম মঞ্জুর

# জেল হাজতে প্রেরণ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
খুলনায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল (৪২) এর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে শুনানী আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য্য করা হয়। খুলনায় মহানগরীতে লবনচরা থানায় মাদকের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন খুলনার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল।
এর আগে পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রাসেল দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে পারেননি। খুলনা মহানগরীর লবনচরা থানাধীন গত ২১ মে ১০ কেজি গাজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মহিলাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে লবনচরা থানায় মাদকের আইনে মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং ২৩, তারিখ ২২.০৫.২০২৫। এই মামলার এজাহারভুক্ত ৪নং পলাতক আসামি ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী রাসেল। সে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ময়লাপোতা (সন্ধ্যা বাজার বিপরীত পাশে) বাসিন্দা মৃত ডা: নাসিম উদ্দিনের ছেলে।
লবনচরা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুন্নু মিয়া সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বলেন, এই মামলার এজাহারভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক মাদক ব্যবসায়ী আসামি রাসেলসহ সবার বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, পলাতক মাদক ব্যবসায়ী আসামি রাসেলকে গ্রেফতারের জন্য নগরীর সন্ধ্যা বাজার বিপরীতে তার নিজ বাসায় একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেফতার করতে পারিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩নং আসামি মো: আনোয়ার হোসেন সোহাগ জানায়, তার হেফাজত হতে জব্দকৃত ২ কেজি গাজার মালিক, অর্থযোগানদাতা এবং মাদকদ্রব্য গাজা ক্রয়-বিক্রয় ৪নং পলাতক আসামি রাসেল (৪২)। ধৃত আসামি এবং পলাতক আসামি অবৈধ মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখে এবং মাদকদ্রব্য ক্রয়/বিক্রয় এবং মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় পৃষ্টপোষকতা এবং অর্থযোগান দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অপরাধ করেছে। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, পলাতক মাদক ব্যবসাীয় রাসেলের বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সিসি ক্যামারায় পুলিশ দেখে সে ওই মুহুর্তে পালিয়ে যায়। রাসেলের বাড়িতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মাদক ব্যবসায়ী রাসেল দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে ওই সূত্রটি জানায়। ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা ব্যবসার সাথে জড়িত। একটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ মাদক কারবারীর তালিকায় দেখা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় শীর্ষ মাদক চোরাকারবারী রয়েছে ১৩৭ জন। এর মধ্যে খুলনায় ৯ জন, যশোরে ২০ জন, সাতক্ষীরায় ৪ জন, বাগেরহাটে ২৬ জন, ঝিনাইদহে ৭ জন, নড়াইলে ২১ জন, মেহেরপুরে ১১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১০ জন, কুষ্টিয়ায় ৮ জন এবং মাগুরায় ২১ জন। এসব শীর্ষ মাদক চোরাকারবারীদের মধ্যে মহিলারা রয়েছে ১৩ জন।