প্রবাসীর বাড়িতে লুটপাটের পর স্ত্রী-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে দুর্বৃত্তরা কুয়েতপ্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে লুটপাটের পর তার স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গত সোমবার রাতের কোনো একসময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামের বাড়িতে নৃশংস এ হত্যাকা- ঘটে। নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৪০) ও তার ছেলে বগুড়ার নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান হোসেন (১৮)। পুলিশ, গ্রামবাসী ও স্বজনরা জানান, ইদ্রিস আলী প্রায় আট বছর ধরে কুয়েতে চাকরি করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে থাকেন। মেয়ে লেখাপড়ার জন্য বর্তমানে বগুড়া শহরে থাকেন। ছেলে কলেজছাত্র ইমরান হোসেনকে নিয়ে মা রানী বেগম বাড়িতে বসবাস করতেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে কাজ করার জন্য রাজমিস্ত্রি এসে ডাকাডাকি করে তাদের কোনো সাড়া পাননি। এরপর প্রতিবেশীরা এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে মা ও ছেলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান, শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস শুকুর ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা লাশ উদ্ধার ও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। আলামত সংগ্রহের জন্য সিরাজগঞ্জে সিআইডি ক্রাইম সিন টিমকে খবর দেওয়া হয়। নিহতদের রক্তাক্ত শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, এ বাড়িতে হাসান নামে পালিত এক এতিম যুবক থাকতেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনরা দাবি করেছেন, ঘাতকরা বাড়ি থেকে ইমরান হোসেনের মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছে। লুটপাটে বাধা পেয়ে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মা ও ছেলে জোড়া হত্যাকা-ের ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিচিতরা বাড়িতে ঢুকে মা ও কলেজছাত্র ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। ঘাতকদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সিরাজগঞ্জ থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন টিম এসে আলামত সংগ্রহের পর লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।