স্থানীয় সংবাদ

লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের বাজার বিপাকে নি¤œ আয়ের ও মধ্যবিত্তরা

# হঠাৎ যেন ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া

শেখ ফেরদৌস রহমান: সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েই চলছে দ্রব্যমূল্যের বাজার কোন ভাবে নিয়ন্ত্রন আসছেনা। হঠাৎ কয়েকদিনের ব্যাবধানে বেড়েছে দ্বিগুন সবজির বাজার, আর মাছের দাম ও কমেনি। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া গরীব অসহায় মানুষ ও সাধারন নি¤œ মধ্য বিত্তরা। এছাড়া হঠাৎ যেন ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। আসছে দূর্গা পুজায় ভারতে ইলিশ আমদানি করা হবে ঘোষনার পরে যেন ইলিশের কাছে যাওয়া যাচ্ছেনা। গেল সপ্তাহের তুলনা প্রকারভেদে ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা পযন্ত বেড়েছে কেজি প্রতি। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন বাজারে সবজিমাছ, মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে চাল এর মুল্য। সবজি ব্যাবসায়ি কাইয়ুম বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ক্রয় করছি । আগের তুলনায় প্রতি দাড়িতে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখানে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি সবজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা পর্যন্ত লাভ করছে ।
অনেক ক্রেতারা এসে মুল্য নিয়ে দর কষাকষি করলে ও এখন তেমন কেউ কিছু বলছেনা এছাড়া আগের তুলনায় বেচাকেনা ও একটু কমেছে। কথা হয় চাউল ব্যবসায়ি মোহাম্মা-উল্লাহ’র সাথে তিনি বলেন, চালের দাম বেড়েছে, ২৮ বালাম প্রকারভেদে ৫৭ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, বাশমতি প্রকার ভেদে ৮০টাকা থেকে ৯৫ টাকা ও নাজিরশাল প্রকারভেদে ৭০টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়ে । মূলত চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে মিলাররা ধান শুকাতে পারছেনা। যেকারণে সরবারাহ কম চালের দাম বাড়তি। এ বিষয়ে কথা হয় দিন মজুর সাহেব আলীর সাথে তিনি বলেন, সবজি এছাড়া সবজির মুল্য কেজি প্রতি নুন্যতম ৭০ টাকা তাই রাস্তার পাশে কাঁচা বাজারে অথবা রেল লাইনে পাশে একটু দাম কম আছে যে কারনে এই বাজার থেকে ক্রয় করছি। তাছাড়া নগরীর বিভিন্ন কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১০০ টাকা, শষা কেজি ৬০ টাকা কেজি, টাকা ঢেঁড়শ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা থেকে ৬০টাকা, কুশি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো দেশি বারোমাসি ২০০ টাকা থেকে২৫০ টাকা, কাকরোল ৮০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচ কলা হালি ৪০ টাকা,পটল ৮০ টাকা থেকে৯০টাকা,এছাড়া মাছের দাম ছোট সাইজের ৬টা কেজি জাটকা ইলিশ ৯০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম ওজন ইলিশ মাছ ১৬শ’ টাকা, আর কেজি সাইজ ২৫ শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি প্রকার ভেদে ৭শ টাকা থেকে ৮শ টাকা কেজি, শৈল মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, চাষের কৈ,শিং ৫০০ টাকা কেজি, রুই মাছ কেজি সাই ৩৫০ টাকা,এছাড়া গরুরর মাংস এখন সর্বেচ্চ দাম ৭৫০ টাকা কেজি, খাসি মাংস ১০৫০ টাকা কেজি, সোনালী মুরগী ২৮০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।নগরীর প্রাইভেট হাসপাতালের চাকুরীজীবী দেলোয়ার হোসেন পিন্টু তিনি বলেন, সবজি সহ বিভিন্ন দ্রব্য মূল্যের দাম স্বাভাবিক বাড়তী । শুধু পেয়াজ, রসুন আর আলু বাদে সব কিছুর দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। রমজানে কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। আমাদের মত নি¤œ মধ্যবিত্তদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর ইলিশের যে দাম ১ কেজি ছোট সাইজ জাটকার দাম ৮শ টাকা থেকে ৯শ টাকা। আমরা না পারছি কারো নিকট সাহায্য চাইতে তাছাড়া বাড়ী ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটানো এক প্রকার কষ্ট হচ্ছে যে নিরব কষ্ট প্রকাশ করতে পারছিনা। নগরীর ভ্রাম্ম্যমান ভ্যানে সবজি বিক্রেতা জহির বলেন, বর্তমান সময়ে বন্যার কারনে ও অতি বৃষ্টির হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে তাছাড়া বন্যার পানি অনেক জায়গায় থাকাতে কৃষকরা শবজি উৎপাদন করতে পারছেনা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button