খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

# জনস্বার্থে অভিযান অব্যহত রাখার আশ^াস সংশ্লিস্টদের #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় সমূহ নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান অব্যহত রয়েছে। ওই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকারের ১১ টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়। তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান কালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি ও জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানার সাউথ সেন্ট্রাল রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্য সম্ভারকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচা প্রনব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানার সাউথ সেন্ট্রাল রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে রোজ কসমেটিকসকে ২ হাজার টাক ও রয়েল চার্মি কে ২ হাজার টাকা এবং ভিপি ড্রাগসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এর নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর ও দৌলতপুর থানার বাস্তুহারা ও বি এল কলেজ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে নেকটার ড্রপস কে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৫ হাজারবটাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে শাখিলা উপজেলার শাখিলা বাজারএলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স শিকদার ট্রেডার্সকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহ আমিন বেকারি অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন ও পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা, পর্বন কে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩০ হাজার টাকা এবং প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টেকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়াহেদ বোডিং স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের এর নেতৃত্বে মহেশপুর উপজেলার হাসপাতাল রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজধানী বেকারিকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করার অপরাধে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান এর নেতৃত্বে লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার মহাজন ও লুতিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ্বাস মেডিকেল হলকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করা এবং পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা, মেসার্স আবু তালহা ফার্মেসি কে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করা এবং ধার্যকৃত মুল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান এর নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা উপজেলার বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কনা নার্সিং হোমকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী এর নেতৃত্বে কুমারখালি উপজেলার আলাউদ্দিন নগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুন্নি স্টোরকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার চাঁদমনি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করার অপরাধে চাদমনি বেকারিকে ৫ হাজার টাকা এবং সন্ধ্যা চানাচুরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযানচলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযানে ১৭ টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় । জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত রাখার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সেলিম জানান, খুলনার বাজারে আমাদের নিয়মিত তদারকিসহ অভিযান অব্যহত আছে। ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘিত করলে ওই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসাবে জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হচ্ছে। খুলনার বাজার সমূহে কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতির বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।