ট্রাম্পের হুমকি থেকে গ্রিনল্যান্ডকে রক্ষায় ডেনমার্কের সামরিক মহড়া

প্রবাহ ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে এটির মালিক দেশ ডেনমার্ক। চীন-রাশিয়া, বিশেষ করে মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম ফিয়র্ডে ‘এক্সারসাইজ আর্কটিক লাইট’ নামে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ড্যানিশ কর্তৃপক্ষ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বীপটি রক্ষায় ন্যাটো মিত্রদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ডেনমার্ক। উত্তর ইউরোপের এই দেশটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গ্রিনল্যান্ডের সার্বভৌম ক্ষমতা ধরে রেখেছে। দ্বীপটিতে মোট ৫৭ হাজার মানুষের বসবাস। তবে খনিজ সম্পদ থাকার সম্ভাবনায় এই দ্বীপের প্রতি নজর পড়েছে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর। তাই এ দ্বীপের নিরাপত্তা বিবেচনায় ডেনমার্ক ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে। বিশেষ বাহিনীও গঠনের পাশাপাশি নতুন নৌযান, ড্রোনও যুক্ত করা হয়েছে। আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়া ও চীনের বাড়তি উপস্থিতি নিয়ে ন্যাটো সতর্ক করলেও ড্যানিশ সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক সামরিক হুমকি নেই। তবুও ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক অবস্থানই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলের আগ্রহ দেখানোর পর ৯০০ কোটি ডলারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক। দেশটির এমন উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কূটনৈতিক বার্তাও বটে। ডেনমার্কের যৌথ আর্কটিক কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল সোয়েরেন অ্যান্ডারসন বলেন, আমরা ডেনমার্কের রাজ্যকে রক্ষা করছি। চীনও আর্কটিকে সক্রিয় হয়ে উঠছে। দেশটি রুশ যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে টহল ও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে, আর্কটিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে ও ‘পোলার সিল্ক রোড’ শিপিং পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। এমনকি, নিজেদেরকে ‘নিকট-আর্কটিক রাষ্ট্র’ ঘোষণা করেছে। সূত্র: সিএনএন