স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুর লঞ্চঘাট দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

# প্রবাহ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের #

স্টাফ রিপোর্টারঃ গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় “তিন ফ্যাসিস্টের অবৈধ দখলদারীত্ব দৌলতপুর লঞ্চ ঘাট এক বছরেও দখলমুক্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ” শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকশের পরপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় কেসিসি ও জেলা প্রশাসন মাঠে নামে। তারা যথারীতি অভিযান শুরু করে। এতে করে এলাকাবাসী অভিযান টিমকে ধন্যবাদ জানান। তবে তারা যেন এ অভিযান পুরোপুরি শেষ করে এই দাবি তাদের। অবশেষে নগরীর দৌলতপুর ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট দখলমুক্ত অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এ অভিযান পরিচালিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। কেসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। কেসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান বলেন, কেসিসির প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকারের নিকট অভিযোগ আসে দৌলতপুর লঞ্চঘাট অবৈধ দখলদারের কবলে পড়েছে। তারা ইট-বালু দিয়ে ঘাট দখল করে রেখেছে। এতে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা বিসর্জনে সমস্যা হবে। যার জন্য তারা প্রাথমিক পর্যায়ে এসে অভিযোগের সত্যতা পায়। তারা তাৎক্ষণিক বালু অপসারণ যন্ত্র দিয়ে বালু ও ইট অপসারণ করে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাট উন্মুক্ত করে দেন। তবে তারা অন্য সময় এসে পুরো ঘাটটি দখলমুক্ত করবেন বলে জানান। অভিযানে অংশ নেন কেসিসির কনজারভেন্সী অফিসার আনিসুর রহমান, সহকারি এষ্টেট অফিসার মাসুদ হোসেন, দৌলতপুর থানা পুজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি বিকাশ দত্ত, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তীলক গোশ্বামী, সাঃ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, সাদিকুর রহমানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তবে বিএনপি নেতা শেখ রিয়াজ শাহেদ বলেন, “আমি বৈধ ইজারাদার। কবিরাজ ঘাটে আমার পৈত্রিক জমি রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে অবৈধ দখলদার। প্রশাসন তাদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে আমার উপর যত অভিযান চালানো হয়। এটা প্রশাসন ঠিক করেনি। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button