স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় পিতা হত্যার ঘটনায় ছেলে-পুত্রবধু’র চাঞ্চল্যকর তথ্য

# সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় কেএমপি’র প্রেসব্রিফিং #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া বাঁশতলায় চাঞ্চল্যকর বাবা লিটন খান হত্যার ঘটনায় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকি লিমন (১৯) ও পূত্রবধূ মোছা: চাঁদনী আক্তার (২০) কে ঢাকা পল্লবী থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। গত ৪ অক্টোবর দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদেরকে গ্রেফতার করে। তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে রোববার ( ৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এক প্রেসবিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিফ্রিংয়ে উল্লেখ করা হয় হত্যাকা-ের আগে লিমন ও চাদনী দুইজনে মিলে চায়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লিটনকে খাওয়ানো হয়। এরপর ছেলে ও পুত্রবধু মিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে হত্যা করে। এরপরও মৃত্যুর নিশ্চিত করার জন্য ঘরে থাকা বটি দিয়ে লিটনের গলা কাটা চেষ্টা করে। প্রেসবিফ্রিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায়। এ সময় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি চাঁদনীর পূর্বে স্বামী ছিল। এরপর লিমনের সাথে পরিচয় হয়। পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে লিমনকে বিয়ে করে চাদনী। বিয়ের এক সপ্তাহের পর তারা বাসায় চলে আসে। লিমনের কাছে কোন টাকা না থাকায় সে বাবা লিটনের কাছে টাকা চায়। এর আগেও লিমন তার বাবার এনজিও থেকে তোলা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার সে টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে। এরই ক্ষোভ থেকে লিমন ও চাদনী মিলে লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা মোকাবেক হত্যাকা- ঘটিয়ে তারা ঢাকায় পালিয়ে যায়। প্রেসবিফ্রিংয়ে কেএমপির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিণ) মো: হুমায়ুন কবির, সহকারি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাবার কাছে টাকা না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকায় ছেলে আবু বক্কও সিদ্দিকি লিমন ও পুত্রবধূ চাঁদনীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় মাছ ব্যবসায়ী লিটন। ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম ছেলে ও পুত্রবধূকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button