‘ধর্ম অবমাননা’: নর্থ সাউথের অপূর্ব কারাগারে

প্রবাহ রিপোর্ট : কোরআন ‘অবমাননার’ অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই চাঁদ মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন বলে প্রসিকিউশনের এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন। পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, “এ আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব পাল মুসলিম ধর্মাবলম্বীর পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফ হাতে করে নিয়ে এসে সকলের সামনে হাত থেকে ফ্লোরের উপর ফেলে পা দিয়ে পদদলিত করে ধর্মের বিশ^াসের অবমাননা করে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানার কথা স্বীকার করেছে। “মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।” এজন্য জামিন নাকচ চেয়ে অপূর্ব পালকে কারাগার আটক রাখার প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। কোরআন অবমাননার ঘটনায় অপূর্বর বিরুদ্ধে গতকাল রোববার ভাটারা থানার এসআই হাসমত আলী মামলাটি দায়ের করেন। গত শনিবার রাতে কয়েকটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেসবে অপূর্ব পাল কোরআন অবমাননা করেছেন বলে বিভিন্ন পোস্টে অভিযোগ তোলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর ফেইসবুক পোস্ট শেয়ার করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়। এর মধ্যেই রাত ১টার দিকে অপূর্ব পালের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ অনেকেই। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করতে জনতার সহায়তা চায় পুলিশ, জনতার তরফেও পুলিশকে সহায়তার আশ^াস দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ অপূর্বকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা অপূর্বকে মারধর শুরু করে। জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু লোকজনের ভিড় ও বাধার মুখে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে ফোর্স বাড়িয়ে তাকে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।” মারধরের মধ্যেই পৌনে ৩টার দিকে অপূর্বকে হেফাজতে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার পর তার ফেইসবুক আইডিতে কোরআন অবমানার ভিডিওর সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু তাকে আটক করতে গেলে উত্তেজিত জনতার বাধার মুখে পড়তে হয়।” বাসাটিতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ওই শিক্ষার্থী, তবে পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ রয়েছেন বলে জানান তিনি। অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন এ বিভাগের প্রভাষক আসিফ বিন আলী। একপর্যায়ে পুলিশ অপূর্বকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা অপূর্বকে মারধর শুরু করে। জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়। অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন এ বিভাগের প্রভাষক আসিফ বিন আলী।