হত্যাকা-ের ৪৮ ঘন্টাপর মামলা দায়ের : কোন গ্রেফতার নাই

# সাংবাদিক হত্যাকা- #
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ সন্ত্রাসী,মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের নিরাপদ জোন বাগেরহাট জেলা শহরের হাড়ীখালী এলাকায় প্রকাশ্য জনসস্মুখে নিজ দলীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া বিএনপি নেতা ও সংবাদকর্মী এএসএম হায়াত উদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ই¯্রাফিল মোল্লাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন কে আসামী করে রবিবার বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয় নাই বলে জানিয়েছেন মডেল থানার ওসি মোঃ মাহমুদ উল হাসান। মাদক ও দলীয় আভ্যন্তরিন কোন্দলের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এএসএম হায়াত উদ্দিন কে তার বাসার কাছে হাড়ীখালি মোড়ের চায়ের দোকানে সামনে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এএসএম হায়াত উদ্দিন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের চেতনা নামে একটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন বলে প্রচার রয়েছে। বাদীর বক্তব্য অনুযায়ী ৩টি মোটরসাইকেলে করে ৬/৭ জন ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ী দিয়ে হামলা চালায়। এলাকার মাদক বিক্রেতাদের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যা করে। বাদী হাসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে এলাকার চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ীতে হামলা করে। আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয় নি। থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তঃ ওই সন্ত্রাসীরা এ ভাবে হত্যা করতে পারত না। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক হায়াত হত্যাকা-ের ঘটনায় তার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সোমবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট পৌরসভাধিন উত্তর হাড়িখালী গ্রামের মৃত মো. নজিাম উদ্দিনের ছেলে।