মুক্তিযুদ্ধে যারা বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলো তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ: তুহিন

# ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভা #
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর উচিত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাদের বিতর্কিত ভূমিকার জন্য জাতির কাছে আগে ক্ষমা চাওয়া, তারপর তারা অন্য দলের সমালোচনা করতে পারে। বিএনপি অতীতে সরকারে থেকেছে, কাজ করেছে। এখনকার অর্থনৈতিক অবকাঠামো যা কিছু দাঁড়িয়ে আছে, তা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এটাকে এগিয়ে নিয়েছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি শিল্পায়ন হয়েছিল। জামায়াত ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যে অপকর্ম করেছিল, তার জন্য জনগণের কাছে আগে ক্ষমা চাক, তারপর অন্য দলের সমালোচনা করুক। জামায়াত একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। শুধু তা-ই নয়, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করে দেশের মানুষকে তারা হত্যা করেছে। তারা আবারও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তারা বলছে, জামায়াতকে ভোট দিলে না কি বেহেশেতে যাওয়া যাবে। তারা বলছে, পূজা আর রোজা না কি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর থানার অর্ন্তগত ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকাতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপির জনগনরে জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি কখনও ভিনদেশের নির্দেশ মতো চলে না, বিএনপি জনগণের কথায় চলে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুগ যুগ বিরোধী দলে থাকলেও, বছরের পর বছরের জেল খাটলেও ভিনদেশীদের কথা মতো চলবে না। ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কে.এম. হুমায়ুন কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব নাসির উদ্দিন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাসুদল হক হারুন, শেখ সরোয়ার, জামির হোসেন দিপু, মঈনুল ইসলাম কিরন, জিএম আইয়ুব আলী, ডা. আব্দুস সালাম, এবিএম জাকির হোসেন, তোয়েব ফরাজী, সাবু, আতিয়ার রহমান বাবু, নাসির আহমেদ, মিজানুর রহমান টুটুল, দুলাল আহমেদ, আব্দুল আলীম, আতিয়ার শেখ, শাহ আলম, রানা শিকদার, শাহারুজ্জামান শাহীন, লিখন, জাহিদ, বাবু, রবিউল ইসলাম, শেখ মাসুম, ফরিদ, ইলিয়াস, মামুন, শামীম আল মামুন, সুমন, রমজান খলিফা, ছোটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আমান, মিন্টু, কামাল, মুকুল, জাহাঙ্গীর, কাওছারী জাহান মঞ্জু, লায়লা পারবেন, শারমিন সুলতানা, কাকলী খান, হালিমা, মমতাজ, তন্নী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনকে বেগবান করা এবং নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।