তৃতীয় দিনে গড়াল আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা

প্রবাহ ডেস্ক : আফগানিস্তান ও পাকিস্তান একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সুরক্ষিত করতে গতকাল সোমবার আলোচনার তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। ইসলামাবাদ আলোচনার পতন হলে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর কাবুল ‘আলোচনা ও বোঝাপড়ার’ ওপর জোর দিচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে, কাবুল কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ শুরু করলে উভয় পক্ষে বেসামরিক নাগরিকসহ ডজনখানেক লোক নিহত হয়। জবাবে ইসলামাবাদ আফগান ভূখ-ের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালায়, যা আরো সহিংসতা উসকে দেয় এবং একটি ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি দ্রুতই ভেঙে পড়ে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহাতে আলোচনার পর দ্বিতীয় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যদিও এর শর্তাবলি এখনো অস্পষ্ট। ইস্তাম্বুলে শনিবার শুরু হওয়া এই দফার আলোচনার লক্ষ্য হলো—ভঙ্গুর এই যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা এবং নতুন করে সংঘাত প্রতিরোধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া স্থাপন করা। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ গতকাল সোমবার এএফপিকে বলেন, ‘আলোচনার দ্বিতীয় ধাপ চলছে। আমরা ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে পারছি না এবং বৈঠকের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ’তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো আলোচনা ও বোঝাপড়া।’ অন্যদিকে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রগুলো রবিবার অভিযোগ করে। তালেবান আলোচকরা ‘গোঁড়ামি এবং গুরুত্বের অভাব’ দেখাচ্ছেন এবং বলেন, ‘আলোচনায় আরো অগ্রগতি আফগান তালেবানের ইতিবাচক মনোভাবের ওপর নির্ভর করছে।’ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শনিবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হলে তা ‘খোলা যুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে আমাদের কাছে তাদের সঙ্গে একটি খোলা যুদ্ধ করার বিকল্প আছে।’ পাকিস্তান দাবি করেছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ‘যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ’ নেওয়া হোক, যাদের বিরুদ্ধে তারা আফগান ভূখ- থেকে হামলা চালানোর অভিযোগ করে। কিন্তু কাবুল জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখ-তা রক্ষার ওপর জোর দেয়। জানা গেছে, তালেবান আলোচকরা পাকিস্তানকে আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করতে এবং বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংকট খুব দ্রুত সমাধান করতে পারেন।



