বাগেরহাটের সুন্দরবন দেখতে এসে নদীতে নিখোঁজ নারী পাইলটের মৃতদেহ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবন দেখতে এসে পশুর নদে বোট উল্টে নিখোঁজ সাবেক নারী পাইলট রিয়ানা আফজালের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড। নিখোজ হওয়ার পর তিন দিনের তল্লাশি শেষে সোমবার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়ে বলেন গত শনিবার (৮ নভেম্বর) ১৩ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি জালি বোটে করে যাত্রা শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে বোটটি ঢাংমারি খাল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় বোটটি। স্থানীয় অন্যবোটের সহায়তায় ১২ পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনা জানার পর কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবারিয়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। টানা তিন দিনের ধারাবাহিক তল্লাশির পর সোমবার (১০ নভে¤॥^র) সকালে মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর মৃতদেহটি পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভ্যালি’তে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশের সাবেক নারী পাইলট রিয়ানা আবজাল পরিবারসহ রাত যাপন শেষে শনিবার সকালে ছোট একটি বোটে করে ১৩ পর্যটক করমজল পর্যটনকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়। রিয়ানার পিতা বিমান বাহিনীর প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার সময় দ্রুতগামী এক জাহাজের প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে আমাদের ছোট বোটটি উল্টে যায়। এতে বোটে থাকা ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জনকে উদ্ধার করা গেলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, রিয়ানা তার স্বামী ও ভাই-বোনের পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিল। তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। তাদের মূল বাড়ি বরিশালে।



