আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘিরে শক্ত অবস্থানে কেএমপি’র বিভিন্ন ইউনিট

# পাওয়ার হাউজ মোড়, লবণচরায় ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার : আগামীকাল ১৩ নভেম্বর নিষিদ্ধ সংগঠণটি বিভিন্ন পলাতক সাবেক এমপি মন্ত্রী ফেসবুকে ঘোষনা করেছে আগামীকাল সারাদেশে লকডাউন কর্মসূচি পালন করতে। আর এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগুন সন্ত্রাসী শুরু করেছে পালিয়ে থাকার নেতা কর্মিরা। কয়েকটি বাসে আগুন ফাকা জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণসহ মিছিল বের করার চেষ্টা চালিয়েছে। এছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পর নগরীর লবণচরা থানা এলাকার পাশে খুলনা রূপসা বাইপাস সড়কে কতিপয় কর্মিরা মুখে মাস্ক পরে মশাল মিছিলের চেষ্টা করে আর সড়কের পাশে দুিট টায়ার জ¦ালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তিতে স্থানীয় বিএনপি’র নেতা কর্মিরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে তারা পালিয়ে যায়। আর সড়কে পাশে থাকা টায়ার, মাস্ক ও মশাল মিছিল বের করার জন্য ছোট লাঠি, কাপড় উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। এছাড়া রাত নয়টার দিকে কয়েকজন নিষিদ্ধ সংগঠণ ছাত্রলীগের কর্মিরা মিছিল বের করে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে সামনের দিক অগ্রসর হতে থাকে এর কিছুক্ষণ পর তারা এদি ওদিক ছুটে পালিয়ে যায়। ঘটনাটির পরপর বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। কেএমপি’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কেএমপি’র সূত্রে জানা গেছে কেএমপি’র বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে যেন নগরীতে কোন ধরনের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না ঘটাতে পারে । এমনকি গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান সারোয়ার মাছুম বলেন, মশাল মিছিল বের করতে পারিনি তারা সড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করছিল এর আগেই ঘটনাস্থলে টহলরত পুলিশ এর নজরে পড়ার পরে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কথা হয় মহানগর বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ এর সাথে তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামলীগের যে লকডাউন কর্মসূচি পালন করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা খুলনা বিএনপি এসব প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে নজরদারি করছি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আমাদের দলীয় নেতা কর্মিরা প্রস্তুত আছে। আমাদের সাথে সাধারণ জনগণ আছে। তাদের এই লকডাউন কর্মসূচি খুলনায় সফল হবেনা। এ বিষয়ে কেএমপি’র উপ কমিশনার দক্ষিণ সুদর্শন কুমার রায় বলেন, আমাদের বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে। আমরা ইতোমধ্যে চেকপোস্ট বসিয়েছি। পুলিশের টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। সাদা পোশাকে পুলিশ নজরদারি করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তারা ফাঁকা জায়গায় দু এক এনিট মিছিল বের করে আবার পালিয়ে যাচ্ছে। এ দিকে গতকাল মঙ্গলবার সচিবলায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, রাস্তার ধারে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধও করেন তিনি। পাশাপাশি, অস্ত্র-উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যহত আছে দাবি করে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা।



