স্থানীয় সংবাদ

বটিয়াঘাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ পোল্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধে আতঙ্ক ২৭ গ্রামে

মনিরুজ্জামান বটিয়াঘাটা থেকে ঃ উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ভগবতীপুর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নম্বর পোল্ডারে বেড়ীবাধ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। গত বর্ষা মৌসুম থেকে মাঙ্গা নদীতে তুলনামূলক ভাবে পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে স্বেচ্ছাশ্রমে করা নতুন বাঁধটি। বাঁধটি ভেঙে গেলে ইউয়নের ২৭টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হবে বলে এলাকাবাসি ও স্থানীয়রা ধারনা করছে। ক্ষতির মধ্যে থাকা গ্রামগুলো হচ্ছে বুনারাবাদ, ভগবতিপুর, পার্শ্বেমারী, সাংকেমারী, গাওঘরা, খড়িয়াল, টাকিমারী, সুরখালি, রায়পুর, কল্যাণশ্রী, গরিয়ারডাঙ্গা, বলারডাঙ্গা ও উদারডাঙ্গ, বারভুইয়া, চান্দার ডাঙ্গা, সাপা, টাকিমারি, বলাট ডাঙ্গা, অতি দ্রুত টেকসই ভেড়িবাধের দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় কৃষক স্বপন মহলদার, আলম সরদার, বলেন, এই রাস্তাটি নদী গর্তে চলে গেলে আমাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে থাকতে হবে। কাঁকড়া ব্যাবসায়ী মোঃরুবেল বলেন, “এই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে আবার ভেঙে যাচ্ছে। আমরা রাতে আতঙ্কিত অবস্থায় থাকি। রাস্তাটি ভেঙে গেলে আমাদের কি করে খেতে হবে আল্লাহ ভাল জানে।” ইজিবাইক চালক মৃণাল বলেন, “আমরা এখান থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল নিয়ে শহরে যাই। রাস্তাটি আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। রাস্তাটি ভেঙে গেলে আমাদের চলাচলের খুব সমস্যা হবে।” ইউপি সদস্য সুজিত রায় বলেন, “গত বছর বুনারাবাদ-ভগবতীপুর গ্রামের প্রায় ২৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রম ও পাউবোর সহযোগিতায় নতুন রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল কিন্তু সেটাও আজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।” সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কে জাকির হোসেন লিটু বলেন, ভগবতীপুর, বুনারাবাদ এলাকার নদী ভাঙনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, যেকোনো মুহূর্তে রাস্তাটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সড়কটি ভেঙে গেলে পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল ও ঘেরের মাছ। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে হয়তো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এই এলাকাটি। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, “এই নদী ভাঙনের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। অতি সত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button