ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে গেছে, না সরালে আমরা কঠোর হবো: সিইসি

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে পোস্টারে। অথচ আমরা পোস্টার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। এগুলো সরাতে হবে। যারা লাগিয়েছেন সরিয়ে নিন; আমরা কঠোর হবো। যখন তফসিল ঘোষণা হবে, তখন আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভোট প্রসঙ্গে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, এখনও আমরা অফিসিয়ালি কিছু জানি না। এটা নিয়ে খুব আলোচনা আছে। এটাও যদি আমাদের ওপর এসে পড়ে… এমনিতেই তো একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে একটা বিশেষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে নির্বাচন করতে গিয়ে অনেকগুলো অতিরিক্ত জিনিস আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। তিনি বলেন, আপানাদের সহযোগিতা এখন অধিকতর প্রয়োজন। নরমাল ইলেকশনে আপনারা যতটুকু সহযোগিতা করেন, এই ইলেকশনে আপনাদের আরও বেশি সহযোগিতা লাগবে। কারণ এক্সট্রা বার্ডেন এসে গেছে। অনেকগুলো এক্সট্রা বার্ডেন এসে গেছে। যেটা নরমালি আগের ইলেকশন কমিশনের কাঁধে ছিল না। সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত সব দলই সমান, সেটা বড়-ছোট যে দলই হোক না কেন। ৫৪টি নিবন্ধিত দল আছে। এই ৫৪ দলই আমাদের কাছে সমান। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরে কী করা যায় সে জন্য দলগুলো থেকে সুচিন্তিত পরামর্শ ও মতামত দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনে খেলবেন আপনারা, আপনারাই প্লেয়ার। আমরা প্রকৃত অর্থে রেফারির ভূমিকায় থাকতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া রেফারির ভূমিকা রাখা, সুষ্ঠু নির্বাচন করা মুশকিল। তিনি বলেন, একটা ফ্রি, ফেয়ার ক্রেডিবেল ইলেকশন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা মূলত দরকার। মূল প্লেয়ারদের সহযোগিতা যদি আমরা না পাই, তাহলে এটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়ে যাবে। এই নির্বাচনি সংলাপ অনেক আগে থেকে করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক নেতারা জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত আছেন। প্যারালালই যদি আমরাও দলগুলোর সঙ্গে বসতাম, তাহল… এ জন্য আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। ইসির এই নির্বাচনি সংলাপের আলোচ্যসূচি হলো, তফসিল ঘোষণার আগে দল ও প্রার্থীর করণীয়, তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি মানা, দল ও প্রার্থীর অঙ্গীকারনামা মানা, নির্বাচনে এআই অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না ভাঙ্গা, লিঙ্গ-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে বৈষম্য না করা, ধর্মীয় উপসানলয়কে রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার না করা, এআই ভিডিও দ্বারা প্রতিপক্ষ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করা।



