স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ায় ত্রাণের ঢেউটিন বিতরণে অনিয়ম

# তালিকায় নাম থাকলেও ঢেউটিন পাননি অনেকে #

দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ দিঘলিয়ায় ত্রাণের ঢেউটিন বিতরণে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও বসবাসের সুরক্ষা প্রদানে ৪ ধাপে ১২০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ঢেউটিনগুলো কাউকে ১ বান্ডিল, কাউকে দেড় এ সকল ঢেউটিন বিতরণে সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মচারীদের সাথে আঁতাত করে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি করেছে। টিন বিতরণ তালিকা দৃষ্টিতে দেখা যায়, ঢেউটিনগুলো বিতরণ কালে তালিকাগুলো এলাকা ব্যাসেস না করে এলোমেলোভাবে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় ভোক্তাদের নামের সাথে পিতা অথবা স্বামীর নামের মিল নেই। আইডি কার্ডে পিতার নাম থাকা স্বত্তেও তালিকায় কথাও স্বামী আবার কোথাও পিতার নাম লেখা হয়েছে। তালিকা ধরে যাচাই করতে যেয়ে দেখা গেছে তালিকায় উল্লেখিত ভোক্তার সাথে তার স্বামী অথবা পিতার নামে মিল নেই।
কেউ কেউ টিন তুলে নিয়ে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে দিঘলিয়া উপজেলায় ১২০ বান্ডিল ঢেউটিন ৬৭ জন ভোক্তার মাঝে বিলি করা হয়েছে। প্রতি বান্ডিল ঢেউটিনের সাথে নগদ ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১ বান্ডিল ঢেউটিনের সাথে ১ হাজার টাকা, দেড় বান্ডিল ঢেউটিনের সাথে সাড়ে ৪ হাজার এবং ২ বান্ডিল ঢেউটিনের সাথে ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলাকার মসজিদসহ লোকজনের মাঝে এই ঢেউটিন নিতরণ করা হয়েছে। অনেকে টিন পেলেও টাকা পায়নি। আবার টাকা পেলেও কম পেয়েছে। আবার কেউ কেউ টিন-টাকা কোনোটাই পায়নি। আবার তালিকার নামের লোককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে ৯ জনকে ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে ২ জনকে পাওয়া গেছে তারা টিন পেয়েছে। তার মধ্যে টিন ঠিকমত পেলেও টাকা কম দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য দিঘলিয়া উপজেলার পিআইও দপ্তরের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের ঢেউটিন বিতরণ তালিকা যাচাই পূর্বক জানা যায় দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে ৭ জনকে ১৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৩৯ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রতœা রানী দাসকে ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা, সীমা রানীকে ১ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আফসানা আক্তার ২ বান্ডিল ঢেউটিন পেলেও তা বিক্রি হয়েছে। বাকী ৪ জন যথাক্রমে, (১) পারভিন হক, (২) সেলিনা খাতুন, (৩) সালেহা বেগম এবং (৪) শিরিনা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। জানা গেছে এ টিন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিক্রি করেছে কথিত ২ নেতা ও ১ সাংবাদিক।
দিঘলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ জামাল হুসাইন জানান বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল করলে টিন পাওয়ার কথা বলছে।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ঢেউটিন বিতরণে অনিয়ম ও আতœসাতের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত না করে কিছু বলতে পারছিনা।
এলাকাবাসী এ ব্যাপারে জোর তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button