সোনাডাঙ্গায় কেডিএ এবং কেসিসির যৌথ অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) যৌথ অভিযানে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন অবৈধভাবে নির্মিত দোকান এবং পরিবহন কাউন্টার ভেঙে ফেলা হয়।
তবে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তারা ব্যক্তিগত মালিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নেওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে তাদের স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
কেডিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে অননুমোদিত জমিতে স্থাপনা তৈরি করে দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বারবার নোটিশ এবং গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেও তাদের স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা স্থাপনা অপসারণ না করায় প্রায় ৩০টি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। তবে, আরও কিছু মালিক স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় তাদের স্থাপনা অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে সেগুলো অপসারণ করা হয়নি।
এদিকে দোকানদার মো. আব্দুল্লাহ ও মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই ব্যক্তিগত জমির মালিকদের সাথে বৈধ ভাড়া চুক্তি ছিল। তারা দাবি করেছেন, কেডিএ তাদের যথাযথ নীতিগত সিদ্ধান্তের অনুরোধ উপেক্ষা করে হঠাৎ করে ভেঙে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেছেন, কেডিএ আগে বলেছিল যে দোকানগুলি থাকতে পারে, তবে পরিবহন কাউন্টারগুলি অপসারণ করতে হবে, যার জন্য তারা তিন মাসের সময়সীমা চেয়েছিল। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ শুরু করায় কম্পিউটার, এসি, আসবাবপত্র – সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
কেডিএ’র নগর পরিদর্শক মিরাজ হোসেন বলেছেন, দখলদাররা জমি খালি করার জন্য বারবার নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষের কাছে কাঠামো ভেঙে ফেলা ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।
তিনি জানান, সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কটি ৬০ ফুট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যেই বাজেট পাশ হয়েছে। তবে এলাকাটি পরিষ্কার না করা পর্যন্ত উন্নয়ন কাজ এগোতে পারছিল না।

