স্থানীয় সংবাদ

দস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, সুন্দরবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘২০ বাহিনী’

স্টাফ রিপোর্টারঃ বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির অভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে আবার দস্যুদের উৎপাত বেড়েছে। বনজীবীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে বনজীবীদের সব কেড়েও নিচ্ছে দস্যুরা। নতুন নতুন দস্যু দলকে বনের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বনজীবীরা। এ ছাড়া দস্যুতায় ফিরছে আগের আত্মসমর্পণকারীরা। বর্তমানে ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ অন্তত ২০ বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সুন্দরবন। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা ও বনদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় বনজীবীরা বলছেন, সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বনদস্যুরা। আত্মসমর্পণকারী এবং নতুন দল মিলে ২০টি বাহিনী এখন সক্রিয়। জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ে আতঙ্ক তৈরি করছে এসব বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে সুন্দরবন অঞ্চলের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪টি গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। পরে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রাণবৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত’ ঘোষণা করে সরকার। দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় শান্তি ফিরে বনে। নিশ্চিন্তে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন বনজীবী ও জেলেরা।
আত্মসমর্পণকারীদের ১৩ জন আবার দস্যুতায়ঃ তবে ২০২৪ সালের আগস্টের পর পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। সরকার পতনের সুযোগে দুলাভাই বাহিনীসহ সুন্দরবনে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে অন্তত ২০টি দস্যুদল। তারা নিয়মিত অস্ত্রের মুখে বনজীবীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। আত্মসমর্পণকারীদের অন্তত ১৩ জন আবার দস্যুতায় ফিরেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে দস্যুদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে ছয় বছর শান্ত থাকা সুন্দরবন। হয়ে উঠেছে আরও ভয়ঙ্কর। মঞ্জুর বাহিনীর প্রধান মঞ্জুর সরদার আবারও দস্যুতায় যোগ দিয়েছেন।
‘দুলাভাই বাহিনী’ঃ একসময় সুন্দরবনের ত্রাস ছিল ‘ইলিয়াস বাহিনী’, বঙ্গোপসাগর থেকে সুন্দরবনের গভীর পর্যন্ত ছিল তার দাপট। ইলিয়াস আত্মসমর্পণ করেন, ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। গত বছরের আগস্টে ইলিয়াসের বোনের স্বামী রবিউল নতুন দল গড়ে তুললে স্থানীয় লোকজন এর নাম দেন ‘দুলাভাই বাহিনী’। বনবিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দস্যুরা বিভিন্ন নামে বাহিনী গঠন করে আগের মতো অপরাধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। আত্মসমর্পণকারীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এসব বাহিনী।
২০ বাহিনীর দাপটঃ মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা ও বনদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সুন্দরবনে আসাবুর বাহিনী, করিম শরীফ বাহিনী, আবদুল্লাহ বাহিনী, মঞ্জুর বাহিনী, দয়াল বাহিনী, রবি বাহিনী, দুলাভাই বাহিনী, রাঙ্গা বাহিনী, সুমন বাহিনী, আনারুল বাহিনী, হান্নান বাহিনী, আলিফ বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনী, দাদাভাই বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী ও মজনু বাহিনীর নাম উল্লেখযোগ্য। তাদের সঙ্গে আরও আছে চার-পাঁচ বাহিনী। একেক বাহিনীতে ১৫-২০ জন থেকে ৪০ জন সদস্য রয়েছে। এসব বাহিনীর প্রত্যেকের হাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। তারা গহীন বনে আস্তানা গড়ে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। এসব বাহিনীর মধ্যে জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর এবং দাদাভাই বাহিনীর অস্ত্র ও সদস্য সংখ্যা বেশি এবং দুর্ধর্ষ। এই তিন বাহিনী আগে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিল। ২০১৬ সালে সুন্দরবনে দস্যু দমনের সূচনা হয়। যখন সবচেয়ে বড় দল ‘মাস্টার বাহিনী’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয় এবং পুনর্বাসনে রাজি হয়। আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরপর আরও ৩২টি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৮ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেন, জমা দেন ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪টি গুলি। অবশেষে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সরকার সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছিল সরকার।
আত্মসমর্পণকারী বাহিনীও আবার দস্যুতায়ঃ আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাস্টার বাহিনী, ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনী, সুমন বাহিনী, খোকাবাবু বাহিনী, মুন্না বাহিনী, আনোয়ারুল বাহিনী, দাদা বাহিনী, হান্নান বাহিনী, ছোট রাজু বাহিনী, আল আমিন বাহিনী, সাত্তার বাহিনী, আলিফ বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনী, শান্ত বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী, আলম বাহিনী, মজনু বাহিনী ও শরিফ বাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সুন্দরবনে আবারও শুরু হয় ডাকাতদের উৎপাত। মুক্তিপণ দিয়ে ফেরা জেলেদের বর্ণনা ও কোস্টগার্ড সূত্রের তথ্য মিলিয়ে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি অস্ত্র হাতে অন্তত ২০টি দস্যু বাহিনী সুন্দরবনজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায় চিহ্নিত মজনু, করিম শরীফ, দয়াল, রবিউল, আবদুল্লাহ, মামা-ভাগনে, আসাবুর, দুলাভাই, আল আমীন, জাহাঙ্গীর, আফজাল, কাজল-মুন্না, রাঙ্গা ও ছোট সুমন বাহিনী জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর শেখ, দাদাভাই বাহিনীর প্রধান জয়নাল আবেদীন ওরফে রাজন এবং মঞ্জুর বাহিনীর প্রধান মঞ্জুর সরদার। চিহ্নিত আসামিরাও যুক্ত হয়েছে দস্যুতায়ঃ বন বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জেল ভেঙে পালানো কয়েদি এবং চিহ্নিত আসামিরাও যুক্ত হয়েছে এই দস্যুতায়। যেমন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের আবদুল্লাহ তরফদার (৪২) নারী পাচার মামলায় কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভাঙচুর করা হলে সেখান থেকে পালিয়ে যান আবদুল্লাহ। পরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বনদস্যুতায় নামেন। আবদুল্লাহর সঙ্গে ১০-১২ জনের একটি দল রয়েছে। তাদের অধিকাংশ কারাগার থেকে পালিয়ে দস্যুতায় যোগ দিয়েছেন।
এক বছরে তিন শতাধিক জেলেকে অপহরণ ঃ এসব বাহিনীর হাতে গত এক বছরে কমপক্ষে তিন শতাধিক জেলে এবং বনজীবী অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গত তিন মাসে শতাধিক জেলেকে জিম্মি করে দস্যুরা। তাদের মধ্যে অনেকেই গোপনে মোবাইলে বিকাশ এবং দস্যুদের সোর্সের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে ফিরেছেন। এখনও ১৫ থেকে ২০ জন জেলে কয়েকটি বাহিনীর কাছে জিম্মি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বনজীবীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে দস্যুদের পদচারণা বেশি। বনের মরাভোলা, আলীবান্দা, ধনচেবাড়িয়া, দুধমুখী, শ্যালা, নারকেলবাড়িয়া, তেঁতুলবাড়িয়া, টিয়ারচর, পশুর, আন্দারমানিক, শিবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাহিনীগুলোর অবস্থান দেখেছেন জেলে ও বনজীবীরা। বাহিনীর আছে সংকেত-সংবলিত টোকেনঃ জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বন সংলগ্ন এলাকার কিছু প্রবাভশালী ব্যক্তি আগের মতোই দস্যুদের গডফাদার, দস্যু-মহাজন ও মধ্যস্থতাকারী এবং সোর্স হিসেবে কাজ করছেন। তারা জিম্মি জেলেদের পরিবার ও মহাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ আদায় করে বাহিনীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। সোর্সের মাধ্যমে বিভিন্ন বাহিনীর সংকেত সংবলিত টোকেন দেওয়া হচ্ছে তাদের। এই টোকেন জেলের নৌকায় থাকলে নিরাপদে মাছ ধরা যায়।একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, দস্যুদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা নিরাপদ নয়। কারণ বনের পাশের জেলেপল্লী ও মৎস্য আড়তের আশপাশে দস্যুদের সোর্স ঘোরাফেরা করে। তথ্য ফাঁসের বিষয় জানতে পারলে পরবর্তীতে বনে গেলে জেলেদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা এবং মুক্তিপণের হার বেড়ে যায়। এই ভয়ে দস্যুদের বিরুদ্ধে জেলে বা মহাজন কেউই মুখ খুলতে সাহস পান না। বনে জেলেদের পাঠালেই নৌকা প্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। আর কোনও জেলে অপহরণ হলে তার মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। এ কারণে অনেকে ভয়ে এখন বনে মাছ ধরতে যেতে চান না।আবারও দস্যুতায় যোগ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর শেখঃ যে কারণে আবারও দস্যুতায় আত্মসমর্পণকারী জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর শেখ, দাদাভাই বাহিনীর প্রধান জয়নাল আবেদীন ওরফে রাজন এবং মঞ্জুর বাহিনীর প্রধান মঞ্জুর সরদার জানিয়েছেন, দস্যুতা তাদেরও ভালো লাগে না। বাধ্য হয়ে আবার এসেছেন। কারণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরেও বয়ে বেড়াতে হয় দস্যু জীবনের অপবাদ। সাবেক দস্যু শুনলে কেউ কাজে নেয় না। এলাকা ও বাইরে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে সেখানেও তাদের সম্পৃক্ত দেখিয়ে মামলা দেওয়া হয়। প্রশাসনিক হয়রানি করা হয়। এসব কারণে অনেকটা ক্ষোভ ও হতাশায় আবার সেই অপরাধ জগতে ফিরেছেন অনেকে। তবে সামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পেলে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
হুমকিতে জীবন-জীবিকাঃ সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সুন্দরবনে দস্যুদের দাপট বেড়ে গেছে। আগের ভয়াবহ অবস্থায় ফিরেছে। বনজীবীরা বনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরাও আছেন আতঙ্কে। এমন পরিস্থিতিতে উপকূলের অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো ছাড়া সুন্দরবনে শান্তি আসবে না।’ সুন্দরবন রক্ষায় আমরা সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ বলেন, ‘দস্যুরা শুধু যে বনজীবী বা ব্যবসায়ীদের কাছে আতঙ্ক তা নয়, বনের জীববৈচিত্র্যের জন্যও হুমকি। কারণ দস্যুতার পাশাপাশি তারা বাঘ, হরিণ শিকার করে মাংস, চামড়া ও কঙ্কাল পাচার করে থাকে। বনের মূল্যবান কাঠ কেটেও পাচার করে। এসব বনদস্যু বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গডফাদার ও সোর্স। লোকালয়ে বসবাস করে এসব গডফাদার। বনদস্যু ও তাদের গডফাদারদের দমন করতে না পারলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস এবং জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা উচিত।’বনদস্যুদের নতুন কয়েকটি দল তৎপরতা শুরু করেছে বনেঃ কোস্টগার্ড বলছে অভিযান চলছে। মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সুন্দরবনে দস্যুদের উৎপাত শুরু হয়। এরপর থেকে নিয়মিত অভিযানের পাশপাশি কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত গত এক বছরে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ২৭টি অভিযানে ৪৪ দস্যু ও তাদের সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশি-বিদেশি ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৩টি বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ১৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩৬৯টি ফাঁকা কার্তুজ, দুটি ককটেল এবং ৪৭৯টি গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। এ ছাড়া দস্যুদের হাতে জিম্মি ৪৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। বনদস্যু দমনের পাশাপাশি সুন্দরবনে সব ধরণের অপরাধ নির্মূলে সচেষ্ট রয়েছে কোস্টগার্ড।’ দস্যুদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছে বন বিভাগ। বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, ‘বনজীবীদের নিরাপত্তায় বনরক্ষীদের টহল জোরদার করা হয়েছে। দস্যুদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি আমরা। দস্যু দমনে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button