কপিলমুনিতে বিধবা নারীকে নির্যাতন শেষে হত্যার অভিযোগ ঃ দেবর আটক

কপিলমুনি প্রতিনিধি ঃ কপিলমুনিতে রাশিদা বেগম (৩৫) নামের দুই সন্তানের জননী বিধবাকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী ঐ বিধবার দেবর মইিদুল গাজী (৪০) কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের লিচু গাছ থেকে রাশিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের মৃত এছেম আলী গাজীর মেঝ ছেলে মৃত এনামুল গাজীর বিধাব স্ত্রী রাশিদা বেগম প্রতি রাতের ন্যায় তার মেয়ে তাসমিরা খাতুন (১৩) কে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। অপর ঘরে ঘুমিয়ে ছিল তার শাশুড়ী। এরই পাশে তার ভাসুর জা ও তাদের সন্তান। রাতের যেকোন সময় রাশিদাকে ঘর থেকে ফুসলিয়ে বের করে নির্যাতনের পর হত্যা শেষে বাড়ির সামনের একটি লিচু গাছে ওড়না দিয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। সকালে বাড়ির লোকজন ঐ গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে স্থানীয় কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লিচু গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এর আগে স্থানীয়রা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার শিকার রাশিদার আপন দেবর মইিদুল গাজীকে আটক করে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ পৌছালে তাকে তাদের হাতে সোর্পদ করা হয়। ঘটনার বিষয়ে নিহতের মেয়ে তাসমিরা খাতুন জানান, গভীর রাতে তার মাকে তারই কাকা মহিদুল জমির মিউটেশন করার কথা বলে ঘরের বাইরে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সে তার মা, কাকা, দাদী ও চাচাকে ডাক চিৎকার দিলেও কেউ সাড়া দেয়নি। এ ব্যাপারে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাশিদাকে হত্যা শেষে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ময়না তদন্ত শেষে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে। তবে সর্বশেষ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।


