জানাজায় খুলনা থেকে অংশ নিয়েছেন সহ¯্র ছাত্র জনতা

একটি মৃত্যু গোটা জাতিকে জাগিয়ে দিয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা শহীদ ওসমান হাদীকে শেষ বিদায় জানাতে খুলনা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের অন্তত অর্ধ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় গিয়েছেন। তারা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জানাজায় অংশ নেন, এরপর কফিনের সাথে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সংগঠক মুশফিকার শামস মেনান। তিনি জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি, আপ বাংলাদেশ, রেড জুলাই, আধিপত্যবাদ বিরোধী ঐক্য সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতাকর্মী ছাড়াও অনেক সাধারণ নাগরিক খুলনা থেকে জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন। অনেকেই গোটা বাস ভাড়া করে, কেউ কেউ দলবদ্ধ হয়ে, আবার অনেকে একক ভাবে এসেছেন।
মেনানরা ৬ জন শুক্রবার সন্ধ্যার বাসে রওনা হন। রাতে ঢাকা পৌঁছে শাহবাগে অবস্থান নেন। শনিবার জানাজা ও দাফন শেষে বিকেলে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে পুনরায় খুলনা ফিরছেন।
মুশফিকার শামস মেনানের ভাষ্য, যে চেতনাকে লালন করে জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলাম, অনেকেই সেখান থেকে কক্ষচ্যুত হয়েছেন। অল্প কিছু মানুষ ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দিকে আঙ্গুল তুলে চোখে চোখ রেখে হুংকার ছাড়ার সাহস রাখতেন। আমাদের ওসমান হাদী ভাই, হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ছিলেন সেই ধরনের মানুষ। বিগত ১৫ বছর এ দেশে ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘায়েল করা হয়েছে। হাদী ভাই ধর্মীয় মূল্যবোধকে ধারণ করেছিলেন। হাদী ভাইয়ের মৃত্যু অনেক বড় আঘাত, কিন্ত এটা অনেক বড় জাগরনও ঘটিয়েছে। লাখো কোটি মানুষের ভেতরে হাদী ভাইয়ের আদর্শ ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদেরকে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র খুলনার ছেলে ইফতিখার ফারহান মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জানাজায় অংশ নিয়েছেন। হাতিরঝিল মধুবাগ থেকে গোটা পথ তাকে পায়ে হেটে যেতে হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ছিলেন শাহবাগে। বললেন, একটি মৃত্যু গোটা জাতিকে জাগিয়ে দিয়েছে। আধিপত্যবাদের দোসর ও খুনী লুটেরাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।

