আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনে ভুমিকা রাখতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# যোগীপোল ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগ #
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকবো। সূর্য চন্দ্রের আলো যেভাবে সকলে পায় ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনায় গেলে সকল ধর্মের মানুষ সেভাবে সম অধিকার ভোগ করবে তখন আর কোন বৈষম্য থাকবে না ইনশাআল্লাহ। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনে ভুমিকা রাখার আহ্বান জানন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী খুলনা-৩ আসনের যোগীপোল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকয় গনসংযোগ চলাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় যোগীপোল ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইসমাইল হোসেন, সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মুজিবর মোড়ল, আল আমীন, আক্তার হোসেন, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা আবুল কালাম, মোহাম্মদ নূরে আলম, মুফতি নাজমুল হাসান, শেখ আলাউদ্দিন, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মো.নজরুল ইসলাম, মাওলানা মিজানুর রহমান, মো.মাসুম, মনিরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোতাহার হোসেন, মো. জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. ডালিম শেখ, মো.নাসিম আহমেদ, মোহাম্মদ মিলন ও নাজমুস সাকিব প্রমুখ।
খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, ‘মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছামতো কেড়েও নেন। তিনিই মহান স্বত্ত্বা, যিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন; আবার বেইজ্জতিও করেন। তা আমরা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি। তারা ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেল, জুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছিল যে, তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসন কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালেমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মূলত, আমাদের ওপর আল্লাহর সাহায্য এসেছে। স্বৈরাচারের সাজানো গোছানো তখতে তাউস বালির বাঁধের মতো তছনছ হয়ে গেছে। তাই এ বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তিনি দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ঢাকায় যাচ্ছেন সাতক্ষীরার প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আয়োজিত ঐতিহাসিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা থেকে যোগ দিচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী। পরিবহন সংকটের কারনে ইতিমধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তারেক রহমান আমাদের প্রিয় নেতা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান মনির জানান, তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর থেকে তাকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিন ইসলাম জানান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানকে বরণে সাতক্ষীরা জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ছাত্রদলের জন্য আলাদা গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু জানান, সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এজন্য সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে প্রায় ৩০টি বাস ও ৩০টি মাইক্রোবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে প্রত্যক আসনের মনোনীত প্রার্থীকে আলাদাভাবে ২০ থেকে ৩০টি করে গাড়ি ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক যানবাহন ঢাকায় যাবে। কিছুটা পরিবহন সংকট থাকলেও আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, পরিবহন সংকটের কারণে ইতিমধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মী নিজ উদ্যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কেউ কেউ আগেভাগেই ঢাকায় পৌঁছে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি কিংবা বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।



