জাতীয় সংবাদ

শ্রমিক লীগ থেকে এনসিপি’র শ্রমিক শক্তিতে মোতালেব

# ট্রাক ছেড়ে চড়ছেন প্রাইভেটকারে #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোতালেব শিকদার। ২০২২ সালে খুলনা জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে। অভ্যুত্থানের পর তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। গত সেপ্টেম্বর মাসে খুলনার এক এনসিপি নেতার হাত ধরে যোগ দেন জাতীয় শ্রমিক শক্তিতে। পদ পান বিভাগীয় আহ্বায়কের। সম্প্রতি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করতে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন মোতালেব। বছর খানের আগে নিজে ট্রাক চালানো ছেড়ে দেন। এনসিপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রাইভেটকার চড়া শুরু করেন। গত সোমবার গুলির ঘটনার পর বিকালে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে প্রাইভেটকারটি জব্দ করে পুলিশ। সূত্রটি জানায়, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ১০৯ নং হাজী ইসমাইল রোডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের প্রিন্সেস হাউজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন মোতালেব ও তার পরিবার। গত তিন বছর ধরে তারা ওই বাড়িতে রয়েছেন। ২০০৭ সালে রহিমা আক্তার ফাহিমাকে বিয়ে করেন তিনি।খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লবের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি শেখ বাড়িতে ঢোকার সুযোগ পায়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের সঙ্গে তার একাধিক ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, খুলনার জিরো পয়েন্ট নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে রূপসা সেতু দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক খুলনার দশ জেলা ও মহানগরীতে যাতায়াত করে। এসব ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরানো। এই চাঁদার একটি অংশ এখন মোতালেব শিকদার পান বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চাঁদার অর্থ দিয়ে প্রাইভেটকারটি কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে সামাজিক কর্মকা- পালনের কথা বলেও সংগঠনের নামে বিপুল অঙ্কের চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ফলে এই কর্মকা- ভালোভাবে না নেওয়ায় এনসিপির একাংশের নেতাদের সাথে মোতালেবের বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হাসপাতালে গেলে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। মোতালেব শিকদারের মা রাবেয়া বেগম বলেন, “মোতালেব কথা বলতে পারছে না। ইশারায় কথা বলছে। তবে বিছানার এপাশ ও পাশ ঘুরে শুতে পারছে।”খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ হারুন অর রশিদ বলেন, “রোগী শঙ্কামুক্ত। আগের থেকে অনেক ভালো আছেন তিনি।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button