স্থানীয় সংবাদ

তিনদিনের টানা ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল

স্টাফ রিপোর্টারঃ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবন এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। শুক্রবার এ মৌসুমের সর্বোচ্চ দুই সহস্রাধিক পর্যটক বনের কটকা পয়েন্টে গেছেন। গত এক সপ্তাহে চার সহস্রাধিক পর্যটক সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরেছেন বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অন্যতম পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মতিউর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবনে পর্যটকের ঢেউ লেগেছে। প্রতিদিন লঞ্চ ও জাহাজে করে শত শত পর্যটক সুন্দরবনে আসছেন।’শুক্রবার একদিনে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৮টি জাহাজে করে দুই সহস্রাধিক পর্যটক কটকা পর্যটন কেন্দ্রে এসেছেন। পর্যটকরা কটকায় মায়াবী চিত্রল হরিণের ছোটাছুটি এবং নদী ও খালের চরে কুমিরের রোদ পোহানোর দৃশ্য দেখে পুলকিত হচ্ছেন। তা ছাড়া পর্যটকরা কটকার জামতলা সী বিচে ঘোরাঘুরি এবং কেউ কেউ সাগরের পানিতে গোসল করছেন বলে কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান।
সুন্দরবনসুন্দরবনঃ সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আজাদ কবীর বলেন, ‘বড়দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। শুক্রবার বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যটক করমজলে বেড়াতে এসেছেন। ট্যুর অপারেটর অব সুন্দরবন (টোয়াস)-এর সেক্রেটারি নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, ‘সুন্দরবনে বর্তমানে পর্যটক বাড়লেও গত বছরের তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটক সুন্দরবনে যাচ্ছেন।’টোয়াসের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ‘বর্তমানে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা সবাইকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়। এটি বাধ্যতামূলক। ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোনও শঙ্কা নেই। আর প্রতিটি জাহাজেই সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী থাকেন। কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল পর্যটকদের স্বস্তি দেয়।’সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে সুন্দরবনে পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে। সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বিভাগীয় দফতর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১৮টি ট্যুর পারমিশন ইস্যু করা হয়েছে। ১৮টি পারমিশনে ৬১১ জন দেশি ও ১৩ জন বিদেশি পর্যটক সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়েছেন।’ সুন্দরবনে ভ্রমণের সময় পর্যটকদের গাইড সাপোর্টসহ সার্বিক নিরাপত্তায় বনরক্ষীরা নিরলস কাজ করেন বলে ডিএফও জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button