স্থানীয় সংবাদ

নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সরকারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# আড়ংঘাটা থানাধীন ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে যাতে জনগণ নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন-সে ব্যাপারে সরকারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের মধ্যে যেন ভয়ভীতি না থাকে। সকল দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে অন্তবর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও উদার হতে হবে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সকল দল যেন সমান সুযোগ পায়- সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের উদাত্ত আহ্বান করছি। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী খুলনা-৩ আসনের আড়ংঘাটা থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাইদ মল্লিক, মো. মাহাবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, মো. হাসান, মো. মনজু, মো. রানা মোল্লা, মো. মফিজুর রহমান, ফেরদাউস হোসেন, তরিকুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, আফজাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ধুলু কাজী, কুদ্দুস হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো. আব্দুল্লাহ, নাফিস হোসেস, মাসুম বিল্লাহ, আব্দুল হক, তাসাইফ, কাদের হোসেন, জামির হোসেন, মুন্তাজুল, সিয়াম, শামিম হোসেন, রাইহানুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, ১৬ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের কড়াল গ্রাসে আবদ্ধ ছিল। দেশে কোনো গণতন্ত্র ছিলো না। মানুষের কথা বলার কোনো অধিকার ছিলো না। ফ্যাসিবাদ তার অপশাসন দিয়ে জনগণের টুটি চেপে ধরেছিলো। গুম-খুনের মহোৎসব চলেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছিলো। বিচার ব্যবস্থাকে স্বৈরাচার সরকার পরিপুর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে ছিলো। ব্যাংক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মাধ্যমে এদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিলো। এই অবস্থা থেকে চব্বিশের ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অসংখ্য রক্তের বিনিময়ে জাতি মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের এই শহীদদের আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদান করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে আবার যেন কোন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে না পেরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে অথচ আজ জনগণই তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই জামায়াত-শিবিরই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button